হাওড়া: হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশের পর রাজ্যের একাধিক মামলায় সক্রিয় তদন্তে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর দল (Central Agency)। যার জেরে ইতিমধ্যেই রোজভ্যালি, সারদা, নারদা -সহ একাধিক মামলায় জেরবার বাংলার একাধিক হেভিওয়েট। আর এবার হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেন মামলার তদন্তে ED সূত্রে, ফের  চাঞ্চল্যকর দাবি। কলকাতা এবং দুবাই, দু'জায়গাতেই সম্পত্তি রয়েছে ধৃত বিরাজ পাতিলের। সূত্রের খবর, তদন্তে ED-র অনুমান কলকাতার সব সম্পত্তি বিক্রি করে, এখানকার পাট চুকিয়ে দুবাই পালানোর ছক কষছিলেন বিরাজ। 
 
গতবছর অক্টোবরে, হাওড়ার শিবপুরের ব্যবসায়ী ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাইদের কোটি কোটি টাকার হদিশ মেলে। পাণ্ডে ব্রাদার্সের ১১৮ কোটির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ED. ওই ঘটনার সূত্র ধরে, গত রবিবার মুম্বই থেকে বিরাজ পাতিলকে গ্রেফতার করে ED। সূত্রের দাবি, ট্রেডিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের প্রমাণ মিলেছে। বিরাজ পাতিলের নামে লুকআউট সার্কুলার জারি ছিল। ২০২১ সাল থেকে দুবাইয়ে ছিলেন বিরাজ।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে রোজভ্যালি মামলা, নারদ মামলা, সারদা মামলা নিয়েও কম জল গড়ায়নি। এর পাশাপাশি গত কয়েকমাসে ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলাতেও সক্রিয় তদন্ত চালাচ্ছে  ED।  বাইশ থেকে তেইশ সালের রাজ্যে একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। শুধু ধরণটা হয়তো আলাদা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপুল টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। গত বছরের শেষে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে শহরে। ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ১০ মহিলা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেবার সংস্থার কর্ণধার হাসিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছিল একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও। সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিংয়ে অফিস খুলে ‘প্রতারণা’ উঠেছিল। 


আরও পড়ুন, TMC-র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার ধর্নায় দলেরই ১০ কাউন্সিলর


অপরদিকে, ব্যাঙ্ক প্রতারণার বাইরেও একাধিক প্রতারণার উদাহরণ রয়েছে। বাইশ সালের ডিসেম্বরে নিউটাউনে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলেছিল। অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল ইকো পার্ক থানার পুলিশ। অভিযোগ, নামী সংস্থার মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর কারবার ফেঁদে বসে প্রতারকরা। টাকা বিনিয়োগ করলে মোটা অঙ্কের রিফান্ড মিলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে, তদন্তে নামে ইকো পার্ক থানার পুলিশ।