কলকাতা: টালার ট্যাঙ্ক (Tala Tank) থেকে শহরবাসীর (Kolkata) দুয়ারে আরও নির্ঝঞ্ঝাটে জল সরবরাহে তৈরি হচ্ছে নতুন পরিকাঠামো। চলছে ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের বড় পাইপলাইন বসানোর কাজ। সেই পাইপলাইন যাবে ট্রেসেল ব্রিজের মাধ্য়মে। শুরু হয়েছে সেই ব্রিজের কাজ। বয়স তার ১০০ পেরিয়েছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাকে রোজই দেখা যায়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না। দেশ তাকে এক নামে চেনে । 


ঐতিহাসিক টালা ট্যাঙ্ক (Tala Tank) । যে মজবুত ইস্পাতে টাইটানিক জাহাজ গড়া হয়েছিল, তাতেই তৈরি এশিয়ার বৃহত্তম জলের ট্যাঙ্কের বিপুলায়তন শরীর । ব্রিটিশ আমল থেকেই টালার ট্যাঙ্ক মহানগরীর জলের ভাণ্ডার। কিন্তু সময়ের নিয়মে ট্যাঙ্ক হয়ে পড়েছিল জীর্ণ । ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল জল ।  তাই চারটি কম্পার্টমেন্টই সারানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। 


৩টি কপার্টমেন্টের মেরামতির কাজ শেষ হলেও চলছে জলভাণ্ডারের চতুর্থ প্রকোষ্ঠের কাজ । সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারিতেই খুলে দেওয়া হতে পারে সেটি।


কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality Corporation) সূত্রে খবর, বর্তমানে পলতার জলশোধনগারে ২০ মিলিয়ন গ্য়ালন জল বেশি উৎপাদন হচ্ছে। সেই পরিশুদ্ধ জল এখন পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে টালার ট্যাঙ্কে পৌঁছচ্ছে। ফলে আরও টইটম্বুর হয়ে উঠেছে শহরের জলধারণকারীর শরীর। টালা ট্য়াঙ্কের পাশেই তৈরি হচ্ছে ট্রেসেল ব্রিজ। যার মধ্যে দিয়ে যাবে পাইপলাইন। ভবিষ্যতে আরও একটি পাইপলাইন বসাতে গেলেও এই ট্রেসেল ব্রিজ ব্যবহার করা যাবে।


এর ফলে শহরে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা । নয়া পাইপলাইনের কাজ পুরসভা করলেও ‘ট্রেসেল ব্রিজ’টি নির্মাণ করছে রাজ্য সরকারের পূর্তদফতর । 


টানা ১০০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কলকাতার মানুষকে পরিশুদ্ধ খাবার জল সরবরাহ করে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে  টালা ট্যাঙ্ক। বিশ্বের বৃহত্তম এই জলের ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে গ্যালভানাইজড লোহার চাদর দিয়ে । ১১০ ফুট উচ্চতায় এই ৩২১ ফুট পরিধি বিশিষ্ট ট্যাংকটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯০ লাখ গ্যালন জল ধারণ করে।  হাইড্রোলিক সিস্টেম এ টালা ট্যাঙ্ক থেকে অবিরাম পদ্ধতিতে অনবরত জল ওঠানামা করে। কখনোই ট্যাঙ্কে জল দাঁড়িয়ে থাকে না। 


আরও পড়ুন: Arijit Singh Concert: 'আবেদন জমা পড়েনি, তাই অনুমতিও দেওয়া হয়নি', অরিজিৎ-কনসার্ট বিতর্কে দাবি মেয়রের