কলকাতা: কর্মজীবনের শুরু বাংলার বুকে। সেই বাংলাতেই ফিরে আসা। শুধু ফেরা নয়, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান পদে উন্নীত হওয়া। তাই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন বাংলার নবনিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানালেন, শুধু বাংলা নয়, খাস কলকাতার বুকে কর্মজীবন শুরু করেন। পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথও। কবির কাছেই নির্ভীক, মাথা উঁচু করে বাঁচার শিক্ষা পেয়েছেন বলেও জানান আনন্দ।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে মাস পাঁচেক আগে বাংলার রাজ্যপাল পদ ছাড়েন জগদীপ ধনখড়। তার পর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দিয়ে বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয় লা গণেশনকে। এ বার স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। বৃহস্পতিবার স্থায়ী ভাবে আনন্দকে নিয়োগের কথা জানানো হয় রাইসিনা হিলের তরফে। লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘স্থায়ী ভাবে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে ডঃ সিভি আনন্দ বসুকে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি। যে দিন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন উনি, সে দিন থেকেই ওঁর কার্যকাল শুরু হবে’।
আনন্দের নিযুক্তিতে সরকারি সিলমোহর পড়তেই এবিপি আনন্দের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হওয়া সৌভাগ্যের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কৃতজ্ঞ আমি যে আমার উপর আস্থা রেখেছেন। বাংলার মানুষের উন্নয়ন, কল্যাণের স্বার্থ কাজ করব। ভারতের সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করব, খেয়াল রাখব সংবিধানিক এক্তিয়ারে থেকে যাতে কাজ করে রাজ্যের নির্বাচিত সরকার।"
বাংলার সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক বলেও জানান আনন্দ। তিনি বলেন, বাংলার সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক। বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে। ব্যাঙ্কার হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতায়। সেখানে থাকতাম, মানুষের সঙ্গে মিশতাম, বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য শেখারও চেষ্টা করি। আগামী দিনে তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।"
বাংলার সঙ্গে আত্মিক যোগ বোঝাতে কবিগুরুর লেখা কবিতাও শোনান আবনন্দ। তিনি বলেন, "কবি বলেছেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত...বাংলা তেমন ভাল নয়, কবে কা দিচ্ছি, প্রত্যেক দিন একটি করে নতুন বাংলা শব্দ শিখব।" রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত সক্রিয় রাজ্য বাংলা। সেখানে রাজ্যপাল হিসেবে কী ভূমিকা থাকবে প্রশ্ন করলে, জানান "রাজ্যপাল হিসেবে আমিও সক্রিয় থাকব।" ঘটনাচক্রে বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়ে সক্রিয় রাজ্যপাল হবেন বলে জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়ও।