সৌমিত্র মজুমদার, কলকাতা: মাসচারেক আগে চাকরি পেয়েছিলেন। স্বনির্ভর হওয়ার আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করার আগেই বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার মহিলা কর্মীর। গুরুতর আহত তাঁর সহকর্মী। নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা স্বাগতা ঘোষাল সহকর্মী সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ইকো পার্কের ২ নম্বর গেটের কাছে তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া গাড়ি। আহত ২ জনকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বছর বাইশের স্বাগতাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর সহকর্মী। ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ।
বীরভূমে দুর্ঘটনা: একই দিনে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাধল বীরভূমের মল্লারপুরে। পুলিশের সামনেই বাঁশ উঁচিয়ে হুমকি। ঘাতক গাড়িটিতে ভাঙচুর চালিয়ে উল্টে ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা। পথ আটকে দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু ঘিরে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে ধুন্ধুমার। গাড়ি ভাঙচুর করে উল্টে দেয় উত্তেজিত জনতা। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা।
এর পর মল্লারপুর (Mallarpur)-সাঁইথিয়া (Saithiya) রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রামপুরহাটের (Rampurhat) এসডিপিও-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মল্লারপুরের (Mollar[ur) গদাধরপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বছর পঞ্চান্নর নীলকুমার বাগদীর। ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।
পুলিশের সামনে বাঁশ উঁচিয়ে ক্ষোভ, রীতিমতো ঘিরে ধরে আছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তা অবরোধ,বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় এক সাইকোল আরোহীর মৃত্য়ু ঘিরে বীরভূমের মল্লারপুরে ধুন্ধুমার!
গা়ড়ি ভাঙচুর করে উল্টে দেন উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে, তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে, কলকাতার দিকে এই নীল গাড়িটিতে করে আসছিলেন, চালক সহ ৩ জন। সাড়ে ৯টা নাগাদ মল্লারপুরের গদাধরপুর বাজারের কাছে আচমকা এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় স্থানীয় বাসিন্দা, নীলকুমার বাগদির। (৫৫) এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর্থিক সাহায্য়ের দাবিতে, মৃতদেহ নিয়ে মল্লারপুর-সাঁইথিয়া রাজ্য় অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। উল্টে দেওয়া হয় ঘাতক গাড়ি। দেহ উদ্ধার করতে গেলে, পুলিশকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। রীতিমতো বাঁশ উঁচিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের।
মল্লারপুরের এক বাসিন্দা পথিক সাহা বলেন, ফয়সালা না হলে ডেডবডি তুলবে না। দুর্ঘটনায় মৃতের ছেলে গোবিন্দ বাগদির কথায়, আমি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলাম। ফোন করল এলাম। কোনও ফয়সালাই তো হল না। পরিস্থিতি সামাল দিতে রামপুরহাটের এসডিপিও-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।