কলকাতা: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এই প্রথম রাজ্যের দুটি দফতরকে চিঠি দিল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, গত ৮ বছরে রাজ্যের সব পুরসভার কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয়েছে। এই ক'বছরে কতজনের চাকরি হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে ইডি। 


প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipal Recruitment Scam) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ নয়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি না হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে, সম্প্রতি জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ( Division Bench of Calcutta High Court)। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির (Municipal Recruitment Scam) অভিযোগের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবং সেই নির্দেশ পুনরায় বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। সেই নির্দেশ খারিজ করে আগের নির্দেশই  বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, তদন্তে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। ৬ জুন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি । 


স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্য়ে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রয়োজনে নতুন FIR দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


হালিশহর, বীরনগর থেকে বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি থেকে কামারহাটি, উত্তর দমদম থেকে দক্ষিণ দমদম, দমদম, ডায়মন্ড হারবার থেকে নিউ ব্যারাকপুর। অভিযোগ, যে ৬০টি পুরসভায় ৫ হাজার চাকরি বিক্রির মিডলম্যান ছিলেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল, তার মধ্যে রয়েছে এই পুরসভাগুলিও। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে সব মহল।