পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুতে অবশেষে গ্রেফতার গাড়িচালক। ধৃতের নাম প্রতীন খাঁড়া। কিছুক্ষণ আগেই প্রতীন খাঁড়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রতীন খাঁড়াই ঘাতক গাড়ির চালক, দাবি পুলিশের। অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু পুলিশের। ঘাতক গাড়ি চালক একটি সংবাদপত্রের ছাপাখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। আটক একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই হদিশ মেলে অভিযুক্ত প্রতীনের, দাবি পুলিশের।


পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, কোনও প্রভাবশালীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দুর্ঘটনা ঘটার পর সারা সকালে কেন কেউ গ্রেফতার হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সামলাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। বারবার পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত বাক্য বিনিময়ও দেখা গিয়েছে। 


এদিনই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিক্ষোভ অবাস্তব। ঘটনা দুঃখজনক। যে করেছে, তাঁকে গ্রেফতার করবে। সিসিটিভি খারাপ ছিল। টাকা থাকলে তাঁকে প্রভাবশালী বলে, এরকম একটা বলেছে। দোষী হলে গ্রেফতার করা হবে।'


গ্রেফতারির দাবিতে এদিন ফের পথে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাসের সামনে থেকে নিউটাউনের (Newtown) নারকেলবাগান পর্যন্ত মিছিল করেন পড়ুয়ারা। মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন পড়ুয়ারা। যদিও পুলিশ দাবি করেছিল, তাঁরা চেষ্টার কসুর করছেন না।


রাজনৈতিক তরজা:
শুভেন্দু-সুজন-সহ বিরোধী প্রায় প্রত্যেকেই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছেন। এহেন মুহূর্তে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এদিন শান্তনু সেন বলেন, 'যেকোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখ্যের। এবং যে ঘটনাটি ঘটেছে, নিশ্চিত করে মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ নিশ্চিত তদন্ত সম্পূর্ণ করে প্রকৃত সত্য সামনে আনবে। কিন্তু সেই নিয়ে যারা বিবৃতি দিলেন, আমরা তাঁদেরকে একটু স্মরণ করিয়ে দিই। প্রথমেই রাজ্যে বিরোধী দলনেতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কেন্দ্রীয় সরকারের মাননীয় মন্ত্রীর ছেলে, আনন্দোলনরত কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দিয়ে চলে গিয়েছিল। তাঁকে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের আগে কীভাবে জামিনে বার করে আনা হয়েছিল, তাও দেখেছি। এখনও তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় বহাল ওআছেন, সেটাও দেখেছি। আর সুজনবাবুকে একটু মনে করিয়ে দিই বিজন সেতুর ঘটনা। সুতরাং আয়নায় নিজেদের মুখটা দেখে, তারপর সমালোচনা করা উচিত। একটা ঘটনা ঘটেছে, এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এখানে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। প্রশাসন তদন্তকরে দোষীদের চিহ্নিত করবে।'


আরও পড়ুন: বুদবুদে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে পঞ্চায়েতের কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা