মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পঞ্চায়েত (panchayat) কার্যালয়ে (office) ঢুকে পঞ্চায়েতের কর্মীকে (worker) মারধরের (assault) অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর (TMC employee) বিরুদ্ধে। বুদবুদ থানার অন্তর্গত গলসি (galsi) ১ নম্বর ব্লকের চাক তেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূল কর্মী (TMC worker) দেবব্রত ঘোষের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মধ্যেই হাতাহাতি।


কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত কর্মী ও তৃণমূল কর্মীর অনুগতদের  মধ্যে হাতাহাতি বাধে। তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, 'মানুষের সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় মারধর করে পঞ্চায়েত কর্মীরা।' তাঁদের বক্তব্য, দেবব্রত দাস নামে এক 
'তৃণমূল কর্মী ঠিকাদার। বকেয়া টাকা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর কাজ শেষ করায় বকেয়া মেটাতে দেরি হয়, জানালেন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ মানেনি তেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, 
'ফান্ডে টাকা না থাকায় সময় চান পঞ্চায়েত কর্মী। সেই অপরাধেই পঞ্চায়েত কর্মীর ওপর হামলা, বোমাবাজি'। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা, পাল্টা দাবি বিরোধীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে বার বার অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। এমনকি দলের এক নেতার খুনের নেপথ্যেও উঠে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব।


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব...
গত নভেম্বরে নওদায় তৃণমূল নেতা খুনেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। দেহরক্ষীর সামনেই খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা। দলের নেতার বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ ওঠে সে বার । ইটভাটার বখরা নিয়ে বিবাদে খুনের অভিযোগ নদিয়ার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। নিহত মতিরুল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। দেহরক্ষীর সামনেই বোমা-গুলি চলে নওদায়। মারা যান তিনি। নওদা থেকে করিমপুরে ফেরার সময় রাস্তা আটকে গুলি, বোমা । বিএড পডুয়া ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় হামলা । থানারপাড়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী খুন। নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। মিথ্যে অভিযোগ, গিয়ে কথা বলব, পাল্টা দাবি অভিযুক্ত নওদার ব্লক সভাপতির। এদিকে দিনচারেক আগে কোচবিহারের গীতালদহে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন তাঁরই দলের কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার, চেয়ারম্য়ানের অপসারণের দাবি তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন, কালনা পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। বিক্ষুব্ধদের অন্যতম তথা কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী বলেছেন, 'প্রায় ৯ মাস-১০ মাস কালনা পুরসভার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। চেয়ারম্য়ান সহযোগিতা করছেন না। আমরা কেউ দলের বিরুদ্ধে না। আমরা চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। দলকে আগেও জানিয়েছি। কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। ইমিডিয়েট ওকে সরানো হোক, নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।'


আরও পড়ুন:ফের দুঃসংবাদ, মারণ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা