কলকাতা: নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের পর টনক নড়ল পুলিশের। নিউটাউন থানার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
নিউটাউনে ৬টি জায়গাকে ব্ল্যাক স্পট হিসেবে চিহ্নিত করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ। নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ৩৬০টি ক্যামেরার স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। 


দুই বোনে খুনসুটি করছিল। তাই বড় মেয়েকে বকা দিয়েছিলেন মা, এরপরই রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছিল ক্লাস এইটের ছাত্রী।  কিন্তু, সেই মেয়েটা যে আর কখনও ঘরে ফিরবে না। আর তার যে এরকম নির্মম পরিণতি হবে, তা এখনও কল্পনাতেও আনতে পারছেন না নিউটাউনের নিহত নাবালিকার মা-বাবা। মেয়েকে হারিয়ে এখন ধৃত টোটোচালকের চরম শাস্তি চাইছেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ, বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল নাবালিকা। তারপর একটি টোটোয় উঠেছিল সে। যে ছবি CCTV ক্যামেরার ফুটেজেও ধরা পড়েছে। আর শুক্রবার সকালে, খালপারের পরিত্যক্ত সরকারি জমি থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর মৃতদেহ। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই টোটোচালক সৌমিত্র রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, নিউটাউনের মতো অভিজাত এলাকায় কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে এক নাবালিকাকে নিয়ে এতক্ষণ ধরে ঘুরলেন টোটোচালক? উঠেছে সেই প্রশ্নও। 


এই আবহে অবশেষে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। রাতারাতি বদলে গিয়েছে নিউটাউনের অন্ধকার ছবিটা। তেমনই ই-রিকশ ও টোটোচালকদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিধাননগর কমিশনারেট। আর এবার নাবালিকাকে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় নিউটাউন থানা এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। নিউটাউন থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে CC ক্যামেরা। নিউটাউন থানার তরফে থেকে এই ক্যামেরাগুলি বসানো হচ্ছে। এরপর নিউটাউন-কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের তরফেও CC ক্যামেরা বসানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


অন্যদিকে ই-রিকশ ও টোটোচালকদের জন্য জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে,  এবার থেকে ই-রিকশ ও টোটো চালকদের নাম-ঠিকানা-সহ সচিত্র পরিচয়পত্র স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। প্রত্যেকের নাম নথিভুক্ত করতে হবে পুলিশের কাছে। সেইসব তথ্য যাচাই করবে পুলিশ। অপরাধে জড়িত থাকার কোনও পূর্ব ইতিহাস কারও রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর, সব কিছু ঠিক থাকলে মিলবে টোটো বা ই-রিকশ চালানোর ছাড়পত্র।


আরও পড়ুন: Murshidabad News: প্রধান শিক্ষককে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা