কলকাতা: ২০২০ সালের ৮ই অক্টোবর, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার শান্তিপূর্ণ 'নবান্ন চলো' কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের বিষয়টি অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এনিয়ে রাজ্য় সরকারকে শো কজ করেছে NHRC।


রাজ্য় সরকারকে শোকজ: পাশাপাশি, নির্যাতিতদের আর্থিক সাহায্য় করা হল না কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিশন। ২০২০-র ৮ই অক্টোবর, বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাওড়া ময়দান। হাওড়া ময়দানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেই সময় ধস্তাধস্তি, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া, রঙীন জল স্প্রে, কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজপথ। কমিশনের দাবি, সেদিনের ঘটনায়, বর্বরোচিত ও নৃশংস আক্রমণ করে পুলিশ। এনিয়ে রাজ্য়ের মুখ্য় সচিবের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্য়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। 


বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মোট চারটি পয়েন্ট থেকে নবান্নের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করে। মিছিল আটকাতে তৎপর হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীও। সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরই জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। রং মেশানো জল স্প্রে করা হয়। জলের ঘায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  


এদিকে বিজেপির (BJP) ডাকা ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ (North Bengal Strike) ঘিরে উত্তেজনা একাধিক জায়গায়। বিশেষ করে কোচবিহারের (Coochbehar) বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে একের পর এক অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি করে যুবককে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় বিজেপির বনধ চলছে। 


আজ সকাল থেকে পথে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কোচবিহার শহরে সরকারি বাসের কাচ ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। আহত হন বাসচালক। কোচবিহারের কাছারিমোড়ে আরও একটি সরকারি বাস ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মীরা। কোচবিহারের চাকিরবাজারেও উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজেপি। বনধ ঘিরে ভেটাগুড়িতে মারাত্মক উত্তেজনা ছড়ায়। একদিকে, বিজেপি কর্মীদের মুখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। অন্য়দিকে, তৃণমূলের জয় বাংলা স্লোগান। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।  তুফানগঞ্জ বলরামপুর চৌপতি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মিছিল ঘিরেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘুঘুমারিতে বিজেপি-তৃণমূল দুপক্ষের মধ্য়ে উত্তেজনা। এদিন বনধের সমর্থনে যেমন পথে নামে বিজেপি, তেমনই বনধের বিরোধিতায় পথে নামে তৃণমূলও। ঘুঘুমারিতে দুপক্ষ মুখোমুখি চলে এলে, উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতি বাধে।


আরও পড়ুন: Health Tips : সতর্ক হোন, লিভারের ক্ষতি করতে পারে এই খাবারগুলি !