কলকাতা: ১৮ মার্চ, শুক্রবার দোল (Dol Yatra)। তার আগের দিন সন্ধেবেলা ন্যাড়াপোড়া (Holika Dahan) উপলক্ষে নাইট কার্ফু (Night Curfew) শিথিল করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।


তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyoapadhyay) হোলিকা দহন উপলক্ষে নাইট কার্ফু শিথিল করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছিলেন। ৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন সুদীপ। এই চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আপনি হোলিকা দহন উপলক্ষে নাইট কার্ফু শিথিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন। আপনার এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেদিন নাইট কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই যাতে ভালভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’


সারা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বেশিরভাগ বিধিনিষেধই শিথিল করা হয়েছে। তবে নাইট কার্ফু এখনও জারি আছে। রাত ১২টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া বাকি সব গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। রাতে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাফেরার উপরেও বিধিনিষেধ জারি আছে। তবে দোলের আগে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।


এদিকে, ভারতে ফের কোভিড ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইআইটি কানপুরের গবেষক দল। দেশে তৃতীয় ঢেউ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। ছন্দে ফিরছে সাধারণ জনজীবন। স্কুল-কলেজও খুলেছে। কিন্তু ফের আশঙ্কা গবেষকদের দাবি ঘিরে। কানপুর আইআইটির ওই গবেষক দলের দাবি, জুনের শেষদিকে ভারতে আসতে পারে কোভিড সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ। গবেষক দলটি জানিয়েছে, জুন থেকে শুরু হয়ে অক্টোবরের প্রায় শেষ পর্যন্ত দাপট দেখাতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। যদিও তা কতটা মারাত্মক হবে, তা নির্ভর করবে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়্যান্টের চেহারা, দেশ জুড়ে টিকাকরণের হাল এবং বুস্টার ডোজের হালহকিকতের উপর। 


আইআইটি কানপুরের গবেষক দলটির দাবি, ভারতে মোটামুটি চার মাস ধরে চলবে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। গবেষণাপত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ অগাস্টের পর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিখরে থাকবে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ।