ঝিলম করঞ্জাই ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার পরে বাংলায় জাঁকিয়ে বসছে নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) আতঙ্ক। কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি আছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজি-তে নমুনা পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট পেতেই সময় লাগবে ৭২ ঘণ্টা। এর মাঝেই সামনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, পশ্চিবঙ্গে নেই নিপা ভাইরাস চিহ্নিত করার মতো পরিকাঠামোই !
দাপট বাড়ছে ডেঙ্গির। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ঠিক এইরকম সময়ে বাংলার উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে হাজির নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক। উদ্বেগ কয়েকগুণ বেড়েছে, এটা জানার পরে যে, নিপা ভাইরাস চিহ্নিত করার মতো পরিকাঠামোই নেই পশ্চিমবঙ্গে ! একথা জানা গেছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল (Beleghata ID Hospital) কর্তৃপক্ষ সূত্রে। যে হাসপাতালে, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে, কেরল ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিক চিকিৎসাধীন।
৪ দিন পর নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজি-তে (National Institute of Virology)। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পুণের ওই সংস্থায় নমুনা পৌঁছনোর পরে, ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে, এটা জানতে যে, ওই ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত, কী আক্রান্ত নন।
বেলেঘাটা আইডি সূত্রে জানা গেছে, 'নিপা' আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি ২৬ বছরের যুবক, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কেরলে (Kerala) কাজ করতেন। তিনি যাঁদের সঙ্গে থাকতেন, তাঁদের অনেকেই 'নিপা' ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। ৫ বছর আগে কেরলেই নিপার সংক্রমণ ছড়ায়। প্রকোপ দেখা যায় ২০১৯ ও ২০২১-এও। ২০১৮-তে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ২৩ জনের খোঁজ মিলেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের।
এদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (Indian Council of Medical Research) তরফে আগেই জানানো হয়, নিপা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার, কোভিডে মৃত্যুর হারের তুলনায় অনেকটাই বেশি ! বিশেষজ্ঞদের মতে, 'নিপা' ভাইরাস আক্রান্ত হলে কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এমনকি, আক্রমণ প্রতিরোধ করার মতো ভ্য়াকসিনও আবিষ্কৃত হয়নি। কখনও ডেঙ্গি, কখনও ম্য়ালেরিয়া...কখনও নিপা...উদ্বেগ সাধারণ মানুষের পিছু ছাড়ছে না।
আরও পড়ুন- সরকারি মতে ৩, বেসরকারিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৩৬ জনের, রাজ্যে এখনও আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬৭ জন