কলকাতা: আচার্যের পর উপাচার্যই সব, (Vice Chancellor) সরকারকে মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। রাজভবনের (Raj Bhawan) নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে সংঘাত। আর সেই প্রেক্ষিতে এবার রাজভবনের পাল্টা বিজ্ঞপ্তি এবার রাজ্য সরকারের।  (West Bengal Government)                                      


সরকারি বিধির উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে (University) চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'রাজভবনের চিঠির ভিত্তিতে কোনও কাজ নয়। রাজভবনের পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিজ্ঞপ্তি সরকারের । সরকারের সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই, উপাচার্যই শেষ কথা, রাজভবনের বিজ্ঞপ্তির পাল্টা বিজ্ঞপ্তি উচ্চ শিক্ষা দফতরের। 


এর আগে রাজভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, উপাচার্যর মান্যতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্তা। তাঁর নির্দেশ মেনে চলতে হবে সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকেও। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্যপালের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে বলেও রাজভবনের এই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে, ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে নিয়োগ প্রসঙ্গেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছে রাজভবন। 


এদিকে, রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই, রবিবার মধ্যরাতে আরও ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে আচার্যের পরে উপাচার্যই সর্বেসর্বা। তাঁর সম্মতি ছাড়া রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ মানতে বাধ্য নন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা।রাজভবনের জারি করা নতুন ঘিরে তুঙ্গে সংঘাত। 


রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে রাজভবন-নবান্ন টানাপোড়েন চলছিলই। এবার তা নতুন মাত্রা পেল রাজভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার নানা বিষয় নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক বিষয় সম্পর্কে উপাচার্যদের নিয়মিত রিপোর্ট চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজভবন।


আরও পড়ুন, কসবায় স্কুলের ৫তলা থেকে পড়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু


অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে, আচার্য করতে বিধানসভায় বিল পাস করায় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, আচার্য-রাজ্যপাল বোস, ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন। ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন । যাকে বেআইনি বলে আখ্যা দেয় সরকারপক্ষ। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। যার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে, আচার্য-রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার, উভয়পক্ষকেই তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থই যে সবার আগে, তাও বোঝায় সুপ্রিম কোর্ট।