কলকাতা: লুক আউট নোটিসের (Look Out Notice) মধ্যেই খোঁজ মিলল মানিক ভট্টাচার্যের। "কোনও অথরিটি আমার বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার করেননি''। প্রতিক্রিয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির। টেট (TET) দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে সিবিআই লুক আউট নোটিস জারি করে। এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, "আমার কাছে যখন যখন যা যা নির্দেশ এসেছে। প্রত্যেকটি বিষয়ে আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন করেছি। কোনও সমস্যা নেই। কোনও অথরিটি আমার বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার করেননি।''
টেট (TET) দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, এক সপ্তাহ ধরে মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে. কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। মানিকের ফোন সুইচড অফ, কলকাতার ফ্ল্যাট ও নদিয়ার বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি, দাবি সিবিআই সূত্রে। এমনকী মানিক ভট্টাচার্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সিবিআই। এমনটাই খবর সূত্রের। আর লুক আউট নোটিসের (Look Out Notice) মধ্যেই খোঁজ মেলে মানিকের। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জানান, "আমার কাছে যখন যেমন নির্দেশ এসেছে, প্রত্যেকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেছি। কোনও অথরিটি আমার বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার করেননি। আমার যে নির্বাচন ক্ষেত্রে সেখানেও আমি যোগাযোগে আছি।''
মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI ও ED। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। ২০১৪’র প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায়, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটে সিবিআই। সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআইয়ের। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে বাঁশদ্রোণীর এই ফ্ল্যাটই সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ কলকাতায় আসেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ব্রহ্মপুরে সিবিআই-এর সিল করা ফ্ল্যাটে আসেন সুবীরেশ। আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি, বিমানবন্দরে দাবি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর। পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকতে পারে, বাড়িতে এসে সুর নরম করে দাবি সুবীরেশের। গতকাল প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়ি ও অফিসে চলে অভিযান । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সিল করে দেওয়া হয় বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ফ্ল্যাট। তল্লাশি চলে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের উত্তরবঙ্গের বাংলো ও অফিসেও।