আসানসোল: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) জামিন পেলেন না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তত দিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। তবে আদালতে এ দিন রপ্রশ্নের মুখে পড়ল মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (CBI)। তদন্ত শেষ করতে কত সময় লাগবে? সিবিআইকে প্রশ্ন আসানসোল আদালতের। 


ফের জামিনের আর্জি খারিজ অনুব্রতর, আপপতত জেল হেফাজতেই


গত ১১ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা, আসানসোল জেল। এই দুই মাসের  জেলজীবনে ৯ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রতর। তবে চিকিত্‍সকরা জানান, তাঁর নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। আগের ওষুধই চলছে। সেই আবহেই শনিবার ফের আসানসোল CBI কোর্টে তোলা হয় তাঁকে। 


শনিবার আদালতে অনুব্রতর জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু তার বিরেধিতা করে সিবিআই জানায়, অনুব্রত প্রভাবশালী ব্যক্তি। জেল থেকে ছাড়া পেলে তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখা উচিত। এর পর দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তত দিন জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে। 


আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: ৯ কোটি মূলধনে লাভের অঙ্ক ৯০ কোটি! গরুপাচারের টাকাই কি এনামুলের তিন ভাগ্নের সংস্থায়, তদন্তে সিআইডি


এ দিন আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই-ও। বিচারক জানতে চান, কত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারবে সিবিআই। কিন্তু তার সদুত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শীঘ্রই তদন্ত নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন বলে জানান তাঁরা। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবী বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি ছিল, চার্জশিটে এমন ব্যক্তির নাম রেখেছে সিবিআই, যিনি মারা গিয়েছেন। কোন মন্ত্রবলে সিবিআই তাঁর বয়ান নিল, জানতে চান তিনি। হয় অনুব্রত শিবির পাল্টান, নয়ত রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিন, সিবিআই এমনটাই চাইছেন বলেও দাবি করেন তিনি।


আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই-ও


সওয়াল জবাব চলাকালীন, এ দিন আগাগোড়া এজলাসেই উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। মাঝে মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি। মেয়ে সুকন্যাকে তলব নিয়ে প্রশ্ন করলেও, জবাব দেননি তিনি।