কলকাতা: দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool)। কিন্তু এদিন মিলছে না বিশেষ ট্রেন। তৃণমূলের (TMC) দাবি, কোচ না থাকার কারণ দেখিয়ে রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 'শনিবার হাওড়া (Howrah) থেকে বিশেষ ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়'। এনিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূলের দাবি, আমাদের থামানোর আরেকটি মরিয়া চেষ্টা!। দিল্লি যাওয়া থেকে আমাদের আটকানো যাবে না, ।
ধর্নার ডাক দিয়েছে তৃণমূল: উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ করেও পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত বাংলার শ্রমিকরাও। কাল বিশেষ ট্রেনে দিল্লি যাবেন তাঁরা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জমায়েত হতে শুরু করেছেন একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডাররা। সেখানেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতিক তরজা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ: একদিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির তলব। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না! এই দুয়ের মধ্যে দলীয় কর্মসূচিকেই বেছে নিয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার থেকে দফায় দফায় নেতাজি ইন্ডোরে জমায়েত হতে শুরু করেছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া প্রান্তিক মানুষ। তৃণমূলের টার্গেট, দিল্লিতে অন্তত ৩-৪ হাজার মানুষের জমায়েত করা।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্নায় বসবে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজ করেও পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত বাংলার শ্রমিকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। শুক্রবার সকাল থেকে বেলা যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে নেতাজি ইন্ডোরে।
যেমন বাঁকুড়ার রানিবাধেঁর বাসিন্দা পুষ্প মাহাতো। বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই হলেও, এখনও পেট চালানোর জন্য ১০০ দিনের কাজই ভরসা তাঁর কিন্তু অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে কাজ করলেও, মেলেনি পারিশ্রমিক! তাই টাকা আদায়ে দিল্লি যাচ্ছেন তিনিও!একই কারণে দিল্লি যাচ্ছেন, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া গায়ত্রী বিশ্বাস বা ধূপগুড়ির বাসিন্দা জুরান সরকারের মতো প্রচুর মানুষ! কেউ ৯ মাস কাজ করেও টাকা পাননি! তো কারও সরকারের থেকে পাওনা ১২ হাজার টাকা! এদিন নেতাজি ইন্ডোরেই করা হয়েছিল কর্মীদের খাওয়া ও থাকার আয়োজন। মেনুতে ছিল, ভাত-ডাল-আলু পটলের তরকারি-ডিমের ঝোল!
এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ''দিল্লির লোকেদের বলব সাবধানে থাকতে। বাংলার চোর নম্বর ওয়ান দিল্লিতে থাকবে। ২ হাজার কোটি টাকা বাংলার মানুষের জানার জন্য বলছি, পড়ে আছে। রাজ্য সরকার ব্যবহার করতে পারছে না। কারণ ওখান থেকে টাকা খরচ করতে গেলে ৬ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে, আর চার টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। রাজ্যের ভাণ্ডার শূন্য। তাই দিল্লিতে দৌড়দৌড়ি হচ্ছে, চুরি করার টাকাটা যেন যায়। চুরি বন্ধ করুন'।