মুন্না আগরওয়াল,দক্ষিণ দিনাজপুর: দণ্ডিকাণ্ডে (Dondi Rituals) কারও কোনও অপরাধ (Crime) খুঁজে পেল না পুলিশ। তিন আদিবাসী মহিলা (Tribal Women) কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাতে চান না। জাতীয় মহিলা কমিশন এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনকে (National Commission for Scheduled Castes And National Commission for Scheduled Tribes)  রিপোর্ট দিয়ে জানাল পুলিশ। এসটি কমিশনকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বিজেপির, পাল্টা তৃণমূল। 


কী হল?
দণ্ডিকাণ্ডে কাউকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারল না পুলিশ। জাতীয় তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনকে রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়ে দিল, ওই আদিবাসী মহিলারা স্বেচ্ছায় দণ্ডি কেটেছিলেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাই দণ্ডি কেটে তৃণমূলে ফিরতে হয়েছিল ওই ৩ মহিলাকে, এমনই অভিযোগ ওঠে ! গত ৭ এপ্রিল, দক্ষিণ দিনাজপুরের এই ছবি ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় শোরগোল। বিজেপিতে যাওয়ার, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ৩ আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে পুরনো দলে ফেরানো হয় বলে অভিযোগ! পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যা নিয়ে কার্যত ফুটছে বঙ্গ-রাজনীতি।
দিকে দিকে চলছে বিজেপির বিক্ষোভ। পথে নামেন আদিবাসীরাও। রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনকে চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিতর্কের মুখে পড়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হয় আদিবাসী মুখ স্নেহলতা হেমব্রমকে। ঘটনার ৫ দিন পর ২ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু দণ্ডি কেটে এসে যাঁর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন ৩ আদিবাসী মহিলা, সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই আবহে দণ্ডিকাণ্ডে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় জাতীয় তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন। তার উত্তরে বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রিপোর্ট দিয়ে জানালেন, তিন আদিবাসী মহিলার কেউই দণ্ডিকাণ্ডে কোনও অভিযোগ জানাতে চান না। কেউ তাঁদের ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে কিছু করায়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় দণ্ডি কেটেছেন, এনিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, 'পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। এসটি কমিশন দিয়ে তদন্ত করলে ঠিক আসল তথ্য মিলবে।' এদিকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, 'বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধি। গোটাটাই তদন্ত সাপেক্ষ। আমি কিছু বলব না। কেন্দ্রের কমিটি এলে তৃণমূল সাহায্য করবে না।' তবে কি এবার দণ্ডিকাণ্ডেও কেন্দ্রীয় কমিটি দিয়ে তদন্ত হবে? এই প্রশ্ন ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।


আরও পড়ুন:২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন, টানা ২ মাস জেলাতেই অভিষেক, ভোটটা কবে?