অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: এবার নিয়োগের দাবিতে বিধানসভার (West Bengal Assembly) সামনে পৌঁছে গেলেন আন্দোলনকারীরা। ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান তোলা হয় আন্দোলনকারীদের।
নিয়োগের দাবিতে বিধানসভায়: মণিপুরে হিংসা থেকে ডেঙ্গি, একাধিক ইস্যুতে সোমবার যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর, তখন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বিধানসভার বাইরেও। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২ বছর ৪ মাস ২০ দিন ধরে রাস্তায় বসে থাকার পরও এখনও মেলেনি চাকরি। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, “সরকার যেন দ্রুত নিয়োগ করে, আমরা সুবিচার চাই।’’
এই পরিস্থিতিতে নিয়োগের দাবিতে ফের রাজপথে নামলেন নবম থেকে দ্বাদশের এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন হঠাৎ বিধানসভার ৬ নম্বর গেটের সামনে চলে আসেন তাঁরা। ঢোকার চেষ্টা করেন বিধানসভায়। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর সবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না এখন। গতবছর ঈদে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কথা বলেছিলেন, ওয়ে আউট বার করে তোমাদের সমস্যার সমাধান হবে কিন্তু, আজও সমস্যার সমাধান হল না।’’দিনের পর দিনের রাস্তায় বসে, রাজপথে নেমে আন্দোলন কিন্তু, সুরাহা মেলেনি। কবে এর থেকে নিস্তার মিলবে? কবে হাতে নিয়োগপত্র পাবেন এই চাকরিপ্রার্থীরা? প্রশ্ন আছে। উত্তর নেই।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দিনকয়েক আগে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অধিবেশন চলাকালীন যে কোনও দিন বিধানসভা অভিযানের কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীরা। বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন মহার্ঘভাতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিয়ে বিধানসভা চলোর ডাক বলে জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে। রাজ্যের পাশাপাশি বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দিল্লিতেও দরবারের পথে আন্দোলনকারীরা। জাসংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে ৪ অগাস্ট পাঠানো হবে চিঠি। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের।