বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন না অভিষেক
( Abhishek Banerjee ) । অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলায় পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই। তবে অভিষেকের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ।

  


গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের ( Supreme Court ) অবকাশকালীন বেঞ্চে, দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, 'অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার CBI তাঁকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।' অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদনও জানানো হয়। 


তখন বিচারপতিরা বলেন, এর জন্য নোটিস ইস্যু করতে হবে। তখন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের আইনজীবী বলেন, অন্তত শুনানির তারিখ দিন, তাহলে সিবিআই সমন পাঠাবে না। 


শনিবার কু্ন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের দিনই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই-ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে, বিচারপতি অমৃতা সিন্হা যে রায় দিয়েছেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে, সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। CBI সেদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদন জানানো হয়। অভিষেকের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, এর আগে দার্জিলিঙে থাকাকালীনও তিনি সমন পেয়েছেন। অভিষেককে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রক্ষাকবচের আবেদন করেন তিনি।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় বহাল রাখার পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। সেই ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলার নির্দেশনামায়, অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং কড়া মন্তব্য় করেন বিচারপতি সিন্হা। নির্দেশনামার ২২ নম্বর পাতায় তিনি উল্লেখ করেন,আবেদনকারীরা যেভাবে তড়িঘড়ি আবেদন করেন, তাতে আদালতের মনে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে যে তদন্তকারী অফিসারদের বাধা দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্য় থেকেই এটা করা হয়েছে। ভাবনাটা ছিল পুরো প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া যাতে আসল অভিযুক্তদের আড়াল করা যায়। নির্দেশনামায় বিচারপতি অমৃতা সিন্হা আরও উল্লেখ করেন, শাসক দলের শীর্ষনেতা হিসেবে AB (অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের) তদন্ত প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। অথচ, আবেদনকারীরা, বিশেষত  AB (অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়) সর্বশক্তি দিয়ে তদন্তের বিরোধিতা করছেন।


আরও পড়ুন :


শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা