গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মন্দিরবাজারে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করছে পরিবার। রয়েছে চরম আতঙ্ক। নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবারের আরও দাবি, অভিযুক্তরা এলাকাতেই রয়েছে। তাও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগও এনেছে তরুণীর পরিবার। তাদের বক্তব্য, অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও তৃণমূলের দাবি, দলের সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনায় যাদের নাম জড়িয়েছে তাদের কোনও যোগ নেই। প্রসঙ্গত, হালেই বন্ধুকে রিসর্টের ঘরে তালাবন্ধ রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।


কী ঘটেছিল?
মন্দিরবাজারে এক কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায় গত কাল। ছাত্রীর বন্ধুকে ঘরে তালাবন্ধ রাখা হয়েছিল বলেও শোনা যায়। পাশাপাশি নির্যাতিতার আপত্তিকর ছবি তুলেও ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা, এমন দাবি তরুণীর পরিবারের। সঙ্গে এও জানানো হয়েছিল, অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী।


তরুণীর দাবি, গত বুধবার বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রাস্তায় তাঁর ওপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুই দুষ্কৃতী। জোর করে অটোয় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একজনের বাড়িতে। অটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় থেকে শুরু হয় মারধরের হুমকি। সেখানে বন্ধুকে একটি ঘরে আটকে রেখে জোর করে চলে গণধর্ষণ। পাশাপাশি আপত্তিকর অবস্থার ছবিও তুলে রাখার হয় বলেই অভিযোগ। এমনকি নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘটনার পর তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে মারধরও করেছিল অভিযুক্তরা। এতেই শেষ নয়। আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে অর্থও দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সঙ্গে  ফোনেও ক্রমাগত হুমকি চলতে থাকে। গোটা ঘটনার পর, সেদিন রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই কলেজছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনের কাকা তৃণমূলের নেতা। সেজন্যই ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নেয়নি, মনে করছে নির্যাতিতার পরিবার।


গোটা ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয় বিজেপিও। যদিও তৃণণমূল বিধায়ক জানান, অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের যোগ নেই।  অন্য দিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা পলাশ রাণা বলেন, 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করেছে. গোটা ঘটনার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। মাননীয়ার কাছে আবেদন করব গোটা ঘটনা দেখার জন্য। ' পাল্টা তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক জয়দেব হালদারের দাবি, 'যে মেয়েটিকে অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছে সে আমাদের তৃণমূল পরিবারের সদস্য। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা দুষ্কৃতী। পুলিশ প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেবে।'


আরও পড়ুন:বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই নিজের জন্মদিনে পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী