সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় গত তিনদিনে ৩০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।  এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুরে ১৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। যাঁদের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোককে নিষেধ করা হয়েছে বাইরে বেরোতে।


করোনা সংক্রমণ রুখতে কলকাতায় ফিরল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। কলকাতার মোট ২৫টি এলাকাকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। ৪১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন আছে হাওড়া জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুরের ১৮টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। 


করোনার গ্রাসে কলকাতা! বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৯০। শুক্রবার ১ হাজার ৯৫৪। শনিবার ২ হাজার ৩৯৮। রবিবার ৩ হাজার ১৯৪। শহরে গত একসপ্তাহে প্রায় ১৬ গুণ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট প্রায় ৩৩ শতাংশ। যাঁরা করোনা টেস্ট করাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। 


এক কথায় পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর! এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভাতেও হানা দিল করোনা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের OSD কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের ৫ সদস্য সংক্রমণের কবলে। কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার ও তাঁর স্ত্রী-ও করোনায় আক্রান্ত। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায়। শহরের মোট ২৫টি জায়গাকে চিহ্নিত করে কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করল কলকাতা পুরসভা। যার মধ্যেই রয়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন।


কলকাতা পুরসভার তালিকা অনুযায়ী, ৭ নম্বর বরোতেই আছে সর্বাধিক ১০টি কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। প্রগতি ময়দান, ট্যাংরা, তোপসিয়া, কড়েয়ার মতো এলাকা আছে এই তালিকায়। ৩ নম্বর বরো এলাকায় আছে ৪টি কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। এছাড়াও ১৬ নম্বর বরোর ৪টি। ১২ নম্বর বরোর ৩টি। ৯ নম্বর বরোর ২টি। ৫ এবং ৮ নম্বর বরোতে ১টি করে এলাকায় কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি  হয়েছে।