ঠাকুরনগর : "ওঁর থেকে বিগার পোর্ট ফোলিও রাইট নাও আই অ্যাম হোল্ডিং হেয়ার। ওঁকে বলে দেবেন যেন না ভোলে, আমার এখন ডেসিজনেশন কী!" অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ও ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে ঠাকুরনগরে আজ তুলকালাম বেধে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল মন্দির, ভাঙা হয় তোরণ। সেই কারণে মূল মন্দিরে পৌঁছতে পারেননি অভিষেক। এই আবহে শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
অভিষেক বলেন, "৩ মাস পর আসব, দম থাকলে আটকাও।" পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনুও। তিনি বলেন, "অভিষেক এখানে প্রক্সি দিয়ে, দুই মন্ত্রীকে এবং জেলা সভাপতিকে দিয়ে এসব করিয়েছেন। যার জন্য মতুয়া ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি ওঁকে ঢুকতে দেব না মন্দিরে। দ্যটস ইট।"
অভিষেক আসার আগে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে বলা হয়, মন্দিরে দুষ্কৃতী ঢোকানো হয়েছে ? এপ্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "অভিষেক আমার কাছে একটা সাধারণ মানুষের মত। আমজনতা যেরকম, অভিষষেকও আমার কাছে তাই। ওঁর সাংসদ হিসাবে যে ক্যাটেগরি আছে, তার একচুল বাইরে নয়। ওঁর থেকে বিগার পোর্টফোলিও রাইট নাও আই অ্যাম হোল্ডিং হেয়ার। ওঁকে বলে দেবেন যেন না ভোলে, আমার এখন ডেজিগনেশন কী ! "
আজ তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঠাকুরবাড়ি সফরের আগে নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয় রাজ্য পুলিশ। তা দেখেই ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ও ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। "বাড়িতে পুলিশ কেন, অভিষেক কে", প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ, এর পর রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সরিয়ে দেন শান্তনু। ঠাকুরবাড়িতে ভোটের আগে আসতেই বা হবে কেন, বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শান্তনু বলেন, "অভিষেক কে? কোন মন্ত্রী ও ? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ হচ্ছে, মন্ত্রী এলেও হয় না, প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সাংসদ। ওর লোকসভায় এসব হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ হিসেবে অভিষেক কে ? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে ?"