নৈহাটি : নৈহাটির (Naihati) শিবদাসপুরে (Shibdaspur) ঘটনার নেপথ্যে মাদকচক্রের রমরমা ? তেমনই দাবি করছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) মৃত্যু হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কন্দপুকুরে চায়ের দোকানে বসেছিলেন জাকির হোসেন, ইউসুফ আলি মণ্ডল নামে ২ ব্যক্তি সহ তিন স্থানীয় বাসিন্দা। সেখানে হঠাৎ বাইকে করে আসে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। এরপর প্রথমে গুলি, তারপর বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি করেছিল, গুলি-বোমায় আহত ৩ জনের মধ্যে ২জন তাদের কর্মী।


নাবালকের নেতৃত্বে হামলা ?


গ্রামবাসীর দাবি, যার নেতৃত্বে হামলা চলে, সেই নাবালক অভিযুক্তের মাদকের কারবার রয়েছে। কয়েকমাস আগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রেফতারও হয়। কিছুদিন হোমে কাটিয়ে ফিরে আসার পর ফের হামলা। 


স্থানীয়দের দাবি, মাদক কারবারের প্রতিবাদ করেছিলেন জাকির হোসেন। সেই কারণেই তাঁকে নিশানা করে অভিযুক্ত। হামলা চালানোর আগে এলাকায় আলো নেভানো হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও পুলিশের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই হামলা। গতকাল সকালে অভিযুক্তের দাদাকে মারধর করা হয়। তার বদলা নিতেই রাতে হামলা। দাবি পুলিশের।


মাত্র ৪ দিনের ব্যবধান। কাঁকিনাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যুর পর সেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটেরই শিবদাসপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে! সঙ্গে মুহুর্মুহু বোমাবাজি। পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চলে, জখম ১। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন আরও ২জন। জাকির হোসেনের বুকে, পেটে ও হাতে গুলি লাগে। রাতেই কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে (Kalyani JNM Hospital) জাকির হোসেনের অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। অন্যদিক, ইউসুফ আলি মণ্ডল নামে আরও এক ব্যক্তি বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন। রাতেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুই জনই তাঁদের কর্মী বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।


এদিকে এই পরিস্থিতিতে কাঁকিনাড়া বিস্ফোরণকাণ্ড (Kakinara Blast) ঘিরে অব্যাহত রাজনৈতিক চাপানউতোর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে, শুক্রবার ভাটপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাল্টা দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। বিস্ফোরণকাণ্ডে আহত ও নিহতর বাড়িতে যায় জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।


বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


আরও পড়ুন ; নৈহাটির শিবদাসপুরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু !