পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা ও হুগলি: কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কখনও হুগলি। অস্ত্র উদ্ধারের (arms Recover) ঘটনায় বিরতি নেই। গত কালের পর আজ ফের অস্ত্র উদ্ধার হুগলিতে (hooghly)। ওই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও (arrest) করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (WB STF)।
কী জানা গেল?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হুগলি থেকে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম মাশাদুল মণ্ডল। এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে পাঁচটি ইম্প্রোভাইজড সিঙ্গল শট আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। গত কাল সন্ধেয় হুগলির কুচেমারা গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই আগ্নেয়াস্ত্র বিহারের পটনা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। গন্তব্য ছিল মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ডানকুনি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, গত কালই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় কাশীপুর থেকে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতের নাম আসান মোল্লা। উদ্ধার হয় ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গত পরশু শোনপুর অটো স্ট্যান্ডের কাছে অপেক্ষায় ছিল বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও কাশীপুর থানার পুলিশ। এক মোটরবাইক আরোহীকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালানো হয়। তার পরই উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। আসান কাশীপুর এলাকারই বাসিন্দা। কোথা থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অস্ত্র উদ্ধারের এমন বাড়বাড়ন্ত কেন? চিন্তায় নানা মহল।
অস্ত্র উদ্ধার প্রায়ই...
ঘটনা হল, রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। গত অগাস্টেও খানিকটা এক রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল চুঁচুড়ায়। সে বার ওই এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র,গুলি, বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় ৮ জন দুষ্কৃতী। ইমামবাড়া হাসপাতালে দুষ্কৃতীকে খুনের চেষ্টার পর থেকেই তল্লাশিতে ব্যস্ত পুলিশ। সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয় নাইন এমএম, পাইপ গান, ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২ কেজি বিস্ফোরক। প্রসঙ্গত, ডাকাতির ছক বানচাল করল মালদার মানিকচক থানার পুলিশ।৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ-সহ গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের দুই বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে মানিকচকের রামুটোলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে গঙ্গা পার হয়ে মানিকচকে পৌঁছতেই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ ফিটু শেখ ও রোহন শেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা মানিকচকে এসেছিল বলে পুলিশের দাবি। দলের বাকিদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:মাংস খেকো ব্যাকটেরিয়া, কলকাতার হাসপাতালে বিরল রোগে মৃত্যু ব্যক্তির !