ঠাকুরনগর : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ঢোকার আগে তুমুল বিক্ষোভ। বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল মন্দির, দেখানো হয় কালো পতাকা। বেরনোর সময় উঠল চোর স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বলতে থাকেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোর।" কেউ আবার সুর চড়িয়ে বলেন, "কয়লা চোর, গরু চোর।" ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।


ঠাকুরনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে আজ চরম উত্তেজনা ছড়ায়। আজ  তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঠাকুরবাড়ি সফরের আগে নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয় রাজ্য পুলিশ। তা দেখেই  ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ও ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। "বাড়িতে পুলিশ কেন, অভিষেক কে", প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ, এর পর রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সরিয়ে দেন শান্তনু। ঠাকুরবাড়িতে ভোটের আগে আসতেই বা হবে কেন, বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শান্তনু বলেন, "অভিষেক কে? কোন মন্ত্রী ও ? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ হচ্ছে, মন্ত্রী এলেও হয় না, প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সাংসদ। ওর লোকসভায় এসব হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ হিসেবে অভিষেক কে ? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে ?"


শুধু তা-ই নয়, ঠাকুরনগর বন্ধ করা হয় মূল মন্দির, ভাঙা হয় তোরণ। মন্দির বন্ধে ঠাকুরনগরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। সেই কারণে মূল মন্দিরে পৌঁছতে পারেননি অভিষেক। পরে পুজো দেন পাশের মন্দিরে। যান বীণাপানি দেবীর ঘরে। অভিষেক ঘুরে চলে গেলে, গোবর-জল দিয়ে ঠাকুরবাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকা শোধন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন শান্তনু।


এই আবহে সুর চড়ান অভিষেক। বলেন, "মতুয়া মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সকাল থেকে বিজেপির লোকেরা মন্দির ঘিরে রেখেছে। মতুয়া-মাটিকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর, জবাব দেবে মানুষ। তিন মাস পর আবার আসব ঠাকুরবাড়িতে, পারলে ঠেকাবেন।" এদিকে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির উত্তেজনার আঁচ হাসপাতালে পৌঁছয়। হাসপাতালে শান্তনু অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের। ঘটনাস্থলে যান বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।