সমীরণ পাল, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, বনগাঁ, কলকাতা:  ঠাকুরনগরে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাড়িতে বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অসীম সরকার (Asim Sarkar)। সিএএ (CAA) নিয়ে এবার দলের ওপর চাপ বাড়ালেন হরিণঘাটার বিজেপি (BJP) বিধায়ক। তিনি বলেছেন, ‘মতুয়াদের জন্য সিএএ-র দাবি দীর্ঘদিনের। এখানকার উদ্বাস্তু মানুষ এর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ এটা নিয়ে আন্দোলন করেছিল’। এদিন ঠাকুরবাড়ি যান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। 


এর আগেই শান্তনু ঠাকুরের পর বিজেপির আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছেন সুব্রত ঠাকুর। বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে মতুয়া-সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। বঞ্চনার অভিযোগে মতুয়াদের নিয়ে দিল্লিতে দরবারের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।  মতুয়াদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক। 


জেলা ও জেলার বাইরেও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  ঠাকুরবাড়িতে বসছে স্বাস্থ্যশিবির, চক্ষু পরীক্ষার আয়োজন। এভাবে জনসংযোগে গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। জেলা ও জেলার বাইরে সম্পর্ক যাত্রা চলবে বলে জানালেন সুব্রত ঠাকুর। 


মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর  বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করার ব্যাপারে কেন দেরি হচ্ছে। জানতে চাইব, কোথায় আটকাল। 


রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের আবহ।প্রকাশ্যেই সরব মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই প্রেক্ষাপটেই এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী করা নিয়ে সুর দিনে দিনে চড়াচ্ছে মতুয়া সমাজ।প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের দাবিতে তৈরি হচ্ছে আন্দোলনের রূপরেখা।


এ ব্যাপারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের সংগঠন যে আছে, অনেকগুলি সংগঠন আছে, তারা স্বাধীন, তাদের সঙ্গে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তারা সিএএ নিয়ে যে কোনও সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগাযোগ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে সাহায্যের প্রয়োজন হলে দল সাহায্য করবে। 


মতুয়া মহলে বাড়ছে CAA নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এই নিয়ে  বিজেপিকে আক্রমণ করেছে বাম-কংগ্রেস। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন,  (CAA এই স্লোগান দিয়েই এরা সবাই নেতা। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। ফলে এই স্লোগান আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে । কিন্তু এতে মানুষ আরও বিপদে পড়বে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ , এতে তাঁদের ভালো হবে না ।এই দুটো দলই তাঁদের ভালো চায় না। 


কংগ্রেসের রাজ্য়সভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন,  সিএএ তো ওদের নেতারাই করতে চাইছে না । বিজেপি তো বুঝে গেছে এতে ভোটের বাক্সে আঘাত করবে । তাহলে এখানে কি করে এসব হবে? মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।


শেষপর্যন্ত মতুয়াদের CAA-ক্ষোভ কীভাবে প্রশমিত করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।