আবির দত্ত, নিউ টাউন: বেআইনি মাদক (Drug Recovery) রাখার অভিযোগে ৭ যুবককে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ (Bengal STF)। ধৃতদের থেকে কোকেন উদ্ধার (Cocaine Recovery) হয়েছে বলে দাবি এসটিএফের। উদ্ধার হওয়া কোকেনের বাজারমূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা। গত কাল, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে, মুম্বই থেকে কলকাতা শহরে ঢুকেছিল এই মাদক।
কী জানা গেল?
গত কাল সন্ধের দিকে, ইকোস্পেসগামী ফ্ল্যাঙ্কের উপর সার্ভিস রোডের কাছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্ট্যান্ডে বেঙ্গল পুলিশের এসটিএফের একটি টিম গোপনে অপেক্ষা করছিল। তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য ছিল বলে সূত্রে খবর। জায়গাটি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক্তিয়ারভুক্ত টেকনোসিটি পুলিশ স্টেশনের মধ্যে পড়ে। কিছু ক্ষণ পড়ে সেখানে ছ'জন যুবক সেখানে এসে পৌঁছন। তাঁদের মধ্যে চার জন আসেন একটি চারচাকা গাড়িতে, বাকি দু'জন আসেন টাটা পালসার মোটরসাইকেলে। ছ'জন একসঙ্গে পৌঁছনোর পর দেখা করেন সপ্তম ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকেই কোকেন নেওয়া হয়, খবর এসটিএফ সূত্রে। ৭ জনকেই গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। মোট ১৬৫ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ধৃতদের নাম ঋষি সাগর (২৮), রাহুল সিংহ (২৬), রিকি দত্ত (২১), রাহুল দত্ত (৩৭), অবিনাশ কুমার (২৬), সন্টি সিংহ (১৯), অভিষেক ঠাকুর (২৭)। এঁদের মধ্যে রাহুল সিংহ ও অবিনাশ কুমার উত্তরপ্রদেশের আগরার বাসিন্দা। আর অভিষেক ঠাকুর আদতে থাকেন বিহারের মধুবনীতে। এসটিএফ সূত্রে খবর,রাহুল দত্ত এবং অভিষেক ঠাকুর, এই দুজন মোটরসাইকেলে এসেছিলেন। ঋষি সাগর, রাহুল সিংহ, রিকি দত্ত এবং সন্টি সিংহ গাড়িতে আসেন। মাদক নেওয়ার জন্য এঁরা প্রত্য়েকেই দেখা করেন অবিনাশ কুমারের সঙ্গে। এদিন কোর্টে পেশ করার কথা ৭ জনকেই।
নতুন নয়...
মাদক উদ্ধাররে খবর এই শহর তথা রাজ্য়ে নতুন নয় আর। গত বছর অগাস্টে খোদ কলকাতায় এমন এক ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল। সেবার পার্সেলের মোড়কে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে খাস কলকাতায় পোস্ট অফিসে পৌঁছয় মাদক। রেভ পার্টিতে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে অভিযোগ। তার আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হন দুই মাদক পাচারকারী। উদ্ধার হয়েছিল ৫৪ গ্রাম এলএসডি। যার বাজার মূল্য কয়েকলক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের রেভ পার্টিতে সরবরাহের জন্য গোয়া থেকে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে আনা হয়েছিল নিষিদ্ধ মাদক। সন্দেহ এড়াতে পোস্ট অফিসে ডেলিভারি নেওয়া হয়। পার্সেল নিয়ে পোস্ট অফিস থেকে বেরোতেই কলকাতা পুলিশ দুই মাদক পাচারকারী ট্যাংরার বাসিন্দা ফৈয়াজ আলম ও এন্টালির বাসিন্দা মহম্মদ জুনেইদকে পাকড়াও করে। পুলিশ সূত্রে খবর, জুনেইদকে জেরা করে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক এমডিএমএ।
আরও পড়ুন:পরমাণু শক্তির রিমোট কন্ট্রোল , ২০ কেজির কালো 'ব্রিফকেস' নিয়েই দিল্লিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট