সমীরণ পাল, দত্তপুকুর: এগরা, বজবজের পর এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা (Duttapukur Incident)। রবিবার সকালের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নিহতের সংখ্যা ৮। হাসপাতালে ভর্তি ৩ শিশু-সহ ২ জন। এতটাই তীব্র ছিল বিস্ফোরণ যে তার অভিঘাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে একাধিক দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এগরার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফেরাল দত্তপুকুর।

কী জানা গেল?
বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, শাসকদলের যোগসাজসেই এই বেআইনি বাজির কারবার চলত। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রত্য়ক্ষ মদতের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। নাম জড়িয়েছে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। স্থানীয়দের বক্তব্য, তিনি সব জানতেন। তার পরও চলত বেআইনি বাজির কারবার। এই নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের, দাবি করছেন স্থানীয়রা। এদিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। ভাঙচুর চলে অভিযুক্তের বাড়িতেও। ঘটনা হল, গত ১৬ মে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। সে বার ভানু বাগ নামে এক ব্যক্তির বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ভানু বাগও। শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু। ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান তিনি। ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই এলাকা ছেড়ে ওড়িশায় রওনা দিয়েছিলেন বেআইনি বাজি কারখানার মালিক, দাবি ছিল পুলিশের। বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কটকের রুদ্র হাসপাতালে। কিন্তু দত্তপুকুরের 'ভানু বাগ' কে? এই নিয়ে শামসুল নামে এক ব্যক্তির কথা জানা গিয়েছে। শামসুল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, দাবি স্থানীয়দের। তাঁরই বাড়িতে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চলত।           


আর যেখানে...
তবে এগরা ও দত্তপুকুরের মাঝে বজবজের ঘটনাও এদিন মনে পড়ে গিয়েছে অনেকের। গত ২২ মে ২২ মে বজবজে বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে, ২০ মার্চ মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেই তালিকায় এদিন নয়া সংযোজন। প্রশ্ন একটাই। এসবের শেষ কোথায়?


আরও পড়ুন:এবার গাজিয়াবাদ, রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের !