আবদুল ওয়াহাব, বসিরহাট: ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের (Money Syphoning) অভিযোগে বসিরহাটের (Basirhat) জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের হিসাবরক্ষককে (Accountant Arrest) গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জি আব্দুল মজিদ ওরফে রায়হান। আজ তাঁকে বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হয়। 


কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বসিরহাট জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর বা CMOH অফিসের  হিসাবরক্ষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাজি আব্দুল মজিদ ওরফে রায়হান নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, কী ভাবে সরকারি টাকা আত্মসাত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করে পুলিশ। তবে এই বিষয়ে বসিরহাট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গাইন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। দফতর সূত্রে অবশ্য খবর, কাজি আব্দুল মজিদ সেখানে হিসারক্ষকের কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন ধরে তার বিরুদ্ধে সরকারি দফতরের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠছিল। তার পর তদন্তে দেখা যায় প্রায় ২২ লাখ টাকা গায়েব। এর পর স্বাস্থ্য দফতর থেকে মজিদের নামে বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গত কাল রাতে বারাসাতের কাজিপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে কাজি আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নতুন। হালেই যেমন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে (MGNREGA)  কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ (corruption allegation) উঠেছিল  শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের (tmc panchayat pradhan) বিরুদ্ধে।


সরকারি প্রকল্পে অর্থ নয়ছয়...
মালদা জেলার চাঁচল ১ নং ব্লকের অন্তর্গত কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা আহাকাম খাঁ-সহ কয়েক জন চাঁচলের মহকুমাশাসক এবং চাঁচল ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, 'হর্টিকালচার'-র কাজ শেষ না করেই আত্মসাৎ করেছেন প্রধান। তালিকায় যে সমস্ত উপভোক্তাদের নাম ছিল, তাঁরা কেউ টাকা পাননি। এমনকী কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নূরগঞ্জ এলাকার সাত্তার হাউস থেকে আলতামাস হাউস পর্যন্ত রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও কাজ না করে টাকা তুলে নিয়েছেন  রেজাউল। আরও অভিযোগ, প্রধানের ভাই ইমরান খান  এবং বৌদি নাজমিন খাতুন এই সমস্ত কাজের বরাত পেয়েছিলেন। সপরিবার তাঁরাই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি। এছাড়াও কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত পোল্ট্রি শেড নির্মাণের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি, প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশেরও একই বক্তব্য। তাঁরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। কিন্তু রাস্তার কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।  অভিযোগ উঠতেই রাজনৈতিক চাপানোতোর শুরু হয়।


আরও পড়ুন:গড়িয়ায় ভয়াবহ আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা