সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: যুবকের মৃত্যু (Mysterious Death) মেনে নিতে না পেরে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরানোর অভিযোগ (Fire) উঠল পড়শিদের বিরুদ্ধে। অশোকনগর (Ashoknagar Police Station) থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের ঘটনা। সেখানকার পুমলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে, পীযূষ রায়ের বাড়িতে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। 


কেন? 
পাড়ার লোকেদের অভিযোগ, পীযূষ, দিনদশেক আগে রতন বাইন নামে এক ব্যক্তিকে উপর থেকে নিচে ফেলে দেন। বছর ছাব্বিশের ওই যুবক সেই সময় বাড়ির পাশের কালভার্টে বসেছিলেন। আচমকা পীযূষ তাঁর পা ধরে উপর থেকে নিচে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। তার পর সেখান থেকে চম্পট দেন অভিযুক্ত। প্রতিবেশিরাই ওই অবস্থায় রতনকে অশোকনগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়। গত কাল, অর্থাৎ শনিবার রতন বাইনের মৃত্যু হয়। গত কালই অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। তাতে বলা হয়, মৃতের পরিবার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলেছে। এর পর, গত কাল রাতেই পীযূষকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানা। তাঁকে বারাসাত আদালতে পাঠানো হয় আজ। এর মধ্যে, শনিবার রাতেই পাড়ার উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের তিনটি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পুমলিয়া এলাকা। হাজির হন হাবড়া ফায়ার ব্রিগেডের এসডিপিও রোহেদ শেখ, হাবরা থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ও অশোকনগর থানার ওসি অয়ন চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে ছিল অশোকনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। এর আগে, গত নভেম্বরে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে মেস থেকে নার্সিং পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।


কী হয়েছিল সেবার?
পুলিশ সূত্রে খবর, গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছিল। ঘটনার পর থেকেই নিহত পড়ুয়ার রুমমেটের খোঁজ নেই। তাঁর খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ।মেসের ঘরে খুন হন ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া। খাটের নীচ থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এই ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে। ৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন শনিবার বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  স্থানীয় সূত্রে দাবি, রবিবার সকালে বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। খুনের মোটিভ প্রাথমিক ভাবে স্পষ্ট ছিল না। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।  


 


আরও পড়ুন:টিভিতে ডার্বি দেখেছি, এবার ভরা গ্যালারির সামনে ডার্বিতে গোল করলাম: নন্দকুমার