সমীরণ পাল, হাড়োয়া: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরেও খুনের ঘটনা। হাড়োয়ায় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য় করে চলে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। প্রায় আট থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। রাস্তায় তৃণমূল নেতার দেহ রেখে মাঝরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। (Haroa  News)তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ পরিবার এবং স্থানীয়দের।


ঘটনার পর রাস্তায় তৃণমূল নেতার দেহ রেখে মাঝরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে


শনিবার প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচন ছিলেন। সেই পদে দাবিদার ছিলেন সাহেব। কিন্তু তিনি জয়ী হতে পারেননি। এর পর রাতে বাড়ি ফেরার পথে শামলাবাজার এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চলে। পুলিশের দাবি অন্তত চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আট-১০ রাউন্ড গুলি চলে। (North 24 Parganas News) সাহেবকে রীতিমতো ঘিরে ধরে গুলিবৃষ্টি চলে বলে অভিযোগ।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সাহেব। সেই সময় এলোপাথাড়ি গুলি চলে তাঁকে লক্ষ্য করে। তাতে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাহেব। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এর পর স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশে। তাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Mamta Banerjee: রাজ্যে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা, ফের অভিযোগ মমতার, ‘কী প্রয়োজন রাজ্যপালের’, তুললেন প্রশ্ন


এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। কী কারণে হামলা হল, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও পরিবার সূত্রে খবর, প্রধান এবং উপপ্রধান পদের দাবিদার ছিলেন সাহেব। তার পরেও পদ পাননি তিনি। সেই নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল দলের অন্দরে। দলের অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে চলছিল টানাপোড়েন। সেই থেকে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন পরিবার-পরিজনরা।


দেহ আটকে রেখে মাঝরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ, বাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলে হাড়োয়ায়


শনিবার রাতে সাহেবের উপর হামলার পর, এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে বেশ কিছু ক্ষণ। একটি অটো ভাঙচুর করে ফেলে দেওয়া হয় নয়ানজুলিতে। একটি মোটর সাইকেলে আগুনও ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। রাতেই বিরাট পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তবে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।