সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মেডিক্য়াল কলেজে (Medical College) ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে এবার প্রতারণা। রীতিমতো কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিশ (Dumdum Police Station)। 


কলেজে ভর্তি নামে প্রতারণা: জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ড জালিয়াতি করে MBBS-এ ভর্তি হওয়ার চেষ্টার অভিযোগের পর এবার ভর্তির করানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। ধৃত ব্যক্তির নাম সত্যনারায়ণ। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এই ব্যক্তিকে এদিন শিলিগুড়ির ভক্তিনগর গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিশ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে দু দফায় ২০ লক্ষ টাকার বেশি নেন ওই ব্যক্তি। গত বছর ব্যারাকপুরের এক গৃহবধূ এই অভিযোগ দায়ের করেন দমদম থানার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের একটি দৈনিক সংবাদপত্র এই একই ধরনের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে পুলিশের। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই তাকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রতারণার সঙ্গে আর কেউ বা কোনও চক্র জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ড জালিয়াতি করে MBBS-এ ভর্তি হওয়ার চেষ্টা ছাত্রীর। নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল  কল্যাণী থানার পুলিশ। ধৃত শ্রেয়া হালদার কল্যাণীর আনন্দনগরের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, গতকাল MBBS-এর কাউন্সেলিংয়ে আসেন ওই ছাত্রী। তাঁর জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ড দেখে সন্দেহ হয়। QR কোড স্ক্যান করে অন্য তথ্য মেলে। দেখা যায়, জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ডটি জাল। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ পেয়ে বিষয়টি কল্যাণী থানায় জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপরই ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ড জালিয়াতির নেপথ্যে কোন চক্র, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় দেখা যায়, জয়েন্টের  র‍্যাঙ্ক কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করলে অন্য তথ্য আসছে। জয়েন্ট পরীক্ষায় শ্রেয়া অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক করেছেন ৪৪৫৯৭৩। কিন্তু যে অ্যালটমেন্ট কার্ড নিয়ে এসেছে, তাতে রয়েছে ৪৪৫৭৩। অর্থাৎ মাঝের ৯ সংখ্যাটি তুলে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের আরও দাবি, এমনকি অ্যালোটমেন্ট কার্ডে তারিখ দেওয়া থাকে না। যে অ্যালটমেন্ট কার্ড নিয়ে এসেছে, তাতে নোডাল অফিসারের ডিটেলস দেওয়া রয়েছে। বাস্তবে নোডাল অফিসারের কোনও তথ্য দেওয়া থাকে না। পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজের নামও ভুল লেখা রয়েছে। বিষয়টি তখনই ছাত্রী ও তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করে। সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড জেএনএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখান থেকেও পরীক্ষা করে জানা যায় পুরো বিষয়টি ভুল।


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? বাঁকুড়ার ৭ জন শিক্ষকের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি সিবিআইয়ের