সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যান পদ ঘিরে জটিলতা থামছেই না ! তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের নির্দেশে, সেই পদে অস্থায়ী হিসেবে দায়িত্বভার নিতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হল ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে।
আরও পড়ুন, TET উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীদের জন্য বড় বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর, খুলছে অনলাইন পোর্টাল, এবার কোন পদে আবেদন ? বনগাঁ পুরসভায় ডামাডোল থামছে না। প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের নির্দেশ সত্ত্বেও, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিতে পারলেন না তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাস। অন্যদিকে তাঁকে অপসারণ করার অভিযোগে, ফের গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যান পদ ঘিরে জটিলতা থামছেই না!তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের নির্দেশে, সেই পদে অস্থায়ী হিসেবে দায়িত্বভার নিতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হল ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে।
৬ নভেম্বর, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে গোপাল শেঠকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে।তার আগেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ থেকে সরে যান তিনি। তাঁর জায়গায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে,তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠিও লিখেছিলেন গোপাল শেঠ।মঙ্গলবার পুরসভায় এসেও দায়িত্ব নিতে পারলেন না তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ দাস।
বনগাঁ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুরজিৎ দাস বলেন, আমার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ মহাশয় অসুস্থ। সেই কারণের জন্য আমাকে উনি চার্জ দিয়ে গেছেন। সেই কপি নিয়ে আমি আজ বনগাঁ পুরসভার EO সাহেব এবং OS সাহেবের কাছে দু'জনের কাছে আমি আসি। তখন ওই সময়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওঁরা জানতে চেয়েছেন এবং এখনও ওঁদের কাছে কোনও রিপোর্ট আসেনি। তাই এখন ওঁরা আমাকে চার্জ দিতে পারছেন না।
বনগাঁ পুরসভা এক্সিকিউটিভ সুরেশচন্দ্র হীরা বলেন , যে চিঠিটা আমরা পেয়েছি, সেটা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলাশাসক, ADM-কে পাঠিয়েছি। যতক্ষণ না ক্ল্যারিফিকেশন এবং ডায়রেকশন আসছে, ততক্ষণ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে গোপাল শেঠের বিবাদ মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।আবার গোপাল শেঠ যখন চেয়ারম্যান পদে ছিলেন, তখন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। ৮ নভেম্বর, পুরসভার দুর্নীতির তদন্তের কারণ দেখিয়ে জ্যোৎস্না আঢ্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেন গোপাল শেঠ। সব মিলিয়ে বনগাঁ পুরসভায় যে ডামাডোল তৈরি হয়েছে, তাতে ফের একবার তৃণমূলের দ্বন্দ্ব সামনে চলে এসেছে। বনগাঁ পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিয়েছে। সে যাইহোক, সে একবার কেন, ১০০ বার সরাক। তাতে আমার কোনও যায় আসে না। কিন্তু দল তো আমাকে সরায়নি। দল একবারও বলেনি যে জ্যোৎস্না তুমি ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যাও। ও পাগল হয়ে গেছে।
বনগাঁ পুরসভা তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন,ভাইস চেয়ারম্যানের অপসারণ সংক্রান্ত যা বলেছেন। বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূলের এই কোন্দল দেখে স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।বিধানসভা ভোটের আগে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুরসভায় রদবদল করিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু এই আবহেই বনগাঁ পুরসভায় দলের দ্বন্দ্ব আরও জোরালো আকার নিল।