সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: নিজের ফেসবুকে ভিডিও তুলে বিতর্কে পড়লেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। নিজেদের বাড়িতে দুয়ারে সরকারের আবেদনপত্র পূরণের ভিডিও আপলোড করার অভিযোগ উঠল ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের বিলকান্দা দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান দীপা পাইকের বিরুদ্ধে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য উপছে পড়ছে ভিড়। এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রধান তার নিজের লেনিন গড়-এর বাড়িতে দুয়ারের সরকারের আবেদনপত্র পূরণ করছেন।
যদিও বিরোধীদের অবান্তর অভিযোগ এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর কথায়, দুয়ারে সরকারের ফর্ম কোনভাবেই বাড়িতে পূরণ করা যায় না। নানা শংসাপত্রের জন্য তার বাড়িতে ৩৬৫ দিনই এরকম ভিড় থাকে। এরই ভিডিও তিনি আপলোড করেছিলেন বলে দাবি করেন।
যদিও এ বিষয়ে তরজা শুরু হতেই তিনি সেই ভিডিও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট করে দিয়েছেন, এমনই অভিযোগ। ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন এটা করা যায় না। ঠিক কি হয়েছে তিনি তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
এদিকে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য এবার থেকে আর ক্যাম্পে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে না, বাড়িতেই ফর্ম নিয়ে পৌঁছে যাবেন আশা কর্মীরা,এমনই উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে। ভিড় ও হয়রানি এড়াতে জেলা জুড়ে এমনই ব্যবস্থা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মহিলারা। যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় দফায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পে এবারে সবথেকে নজর কেড়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করতে কেউ রাত থেকে লাইন দিচ্ছেন, কোথাও আবার ক্যাম্পের গেট খোলার সাথেসাথে ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য হুড়োহুড়ির জেরে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন অনেকেই। এই সমস্ত ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লকেই ক্যাম্প শুরুর নির্দিষ্ট দিনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম পৌঁছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে সেই সংক্রায় মিটিং করে সেই বিষয়ে আশা কর্মীদের ট্রেনিংও দিতে শুরু করে দিয়েছেন বিডিওরা।
করোনা আবহে ভিড় এড়াতে, ও মহিলাদের হয়রানি রুখতে এই ব্যাবস্থা বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। স্বাভাবিক ভাবেই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মহিলারা।