সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা :  গত কয়েকদিনে একাধিক জেলায় বিস্ফোরণ। কেউ আহত হয়েছেন। কারও মৃত্যু হয়েছে। শিশুরাও বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে বোমা ফেটে জখম হয়েছে এক কিশোর। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে বালিকার। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বোমা ফেটে আঙুল বাদ গেছে এক ব্যক্তির। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিস্ফোরণে উড়েছে পা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও ২ তৃণমূল কর্মী ! 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে বিস্ফোরণের খবর। বইছে রক্তস্রোত। যাচ্ছে প্রাণ। এবার সেই তালিকায় বসিরহাট । বসিরহাটে বিস্ফোরণে জখম  হয়েছে এক নাবালক সহ ২ জন। বসিরহাটের রামনগরে রান্নাঘরে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে। আর এতে গুরুতর আহত হয়েছে এক নাবালক। আহত হয়েছেন সনিয়া বিবি নামে এক গৃহবধূও। বোমা ফেটে জখম, দাবি করছেন স্থানীয়রা। পুলিশ বোমা বিস্ফোরণের খবর স্বীকার করেনি। 


আরও পড়ুন: Gautam Adani: ৬০ বছরের জন্মদিনে ৬০ হাজার কোটি দান! এশিয়ার 'সেরা পরোপকারী'র তালিকায় আদানি


সম্প্রতি ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন । কীভাবে বিস্ফোরণ হল তৃণমূল নেতার বাড়িতে? সত্যিই বোমা বাঁধা হচ্ছিল সেখানে? না কি বাজি তৈরির কাজ চলছিল? যদি বাজিই তৈরি হয়, তা হলে গ্রামবাসীরা কখনও তা জানতে পারলেন না? এও কি সম্ভব? ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে কী থেকে বিস্ফোরণ ঘটল? সোমবার যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জেরে পরদিন এলাকায় বসানো হয়েছে বিশাল পুলিশ পিকেট। মঙ্গলবার দুপুরে অবশেষে ফরেন্সিক টিম আসে।  শুক্রবার ওই বিস্ফোরণের পর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মেলে এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের দেহ।  


কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে, শুক্রবার রাতে ভূপতিনগরের নাড়ুয়া বিরলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতা ও দুই তৃণমূল কর্মী লালু মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের ঝলসানো দেহ। রহস্য বাড়িয়ে তিনটি মৃতদেহ মেলে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে। বিস্ফোরণের কারণ ও নেপথ্যে কারা রয়েছে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।