সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেল পানীয় জল (drinking water) নেই ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (bhatpara state general hospital)। চরম সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা (patient)। পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। কবে মিটবে এই জলের সমস্যা? উত্তর জানা নেই। দেখা মিলছে না ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সুপারেরও, অভিযোগ এমনই।


কী ঘটেছে?
হাসপাতালের এক কর্তা জানান, গত কাল রাত থেকেই জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের মতো জায়গায় পানীয় জলের মতো পরিষেবা ঠিক করার জন্য কেন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হল না? সেই সদুত্তর নেই। যদিও সূত্রের খবর, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জলের সমস্যা মেটানো চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। রোগী পরিজনদের খেদ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা অমান্য করে রোগী যত্রতত্র স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগও ওঠে এখানে। 


চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু...
গত বছর নভেম্বরের ঘটনা। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় এলাকায়।বিক্ষোভ শুরু হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে মৃতের আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, বুকে ব্যথা নিয়ে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জগদ্দলের বাসিন্দা এক জুটমিল শ্রমিক। কিন্তু ভুল ইঞ্জেকশনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, বলেন পরিজনরা। এরপরই হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় মৃতের পরিবার। চলে ভাঙচুর। হাসপাতালে যান ভাটপাড়া পুরসভার প্রশাসক। উত্তেজনা সামাল দিতে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। তবে ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে শুধু ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নয়। পরিকাঠামো থেকে পরিষেবা, সরকারি হাসপাতাল ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগই শোনা গিয়েছে একাধিক বার। বিশেষত কারণে-অকারণে 'রেফার' করার অভিযোগ ভুরি ভুরি। পরিস্থিতি শোধরাতে নভেম্বরের শেষ দিকে  ‘রেফার পলিসি’-র কথা বলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী! জানিয়ে দিয়েছিলেন, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে অযথা স্থানান্তর বন্ধ করতে তৈরি করা হবে ‘রেফার পলিসি’। কোন পরিস্থিতিতে রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ থাকবে ‘রেফার পলিসি’তে। রোগী হয়রানি রুখতেই এই পদক্ষেপ। 
কিন্তু বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে এখনও যে সাধারণ মানুষকে নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল তা ফের বুঝিয়ে দিল।


আরও পড়ুন:দুর্নীতির-অস্ত্র কি ওএমআর শিট? ইঙ্গিত সিবিআই তদন্তে