সমীরণ পাল, বসিরহাট: সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অপরাধ দমনে বড় সাফল্য পেল বসিরহাট পুলিশ (Basirhat Police)। রিভলভার, গুলি এবং তরল মাদক-সহ দুই দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করল তারা। বাংলাদেশেই (Bangladesh) সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিশ।


মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত (Bangladesh Border) থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের আমিন মণ্ডল এবং আজহারউদ্দিন মণ্ডল নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। সেখানকার ইটিন্ডা সীমান্ত এলাকাতেই বাড়ি তাঁদের। পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশে মাদক এবং অস্ত্র পাচার (Drug Smuggling) করছিলেন অভিযুক্তরা।
বসিরহাট পুলিশের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার গোলাম সরোয়ার জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গভীর রাতে ইটিন্ডার কলবাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় দু’জনকে। 


বসিরহাট পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৬টি রিভলভার, ১২ রাউন্ড গুলি এবং ১০ লিটার তরল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে সেগুলো পাচার করা হচ্ছিল বলে অনুমান। সেগুলি কোথা থেকে এল, আর কে কে এর সঙ্গে যুক্ত, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।


ধৃতদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার হয়েছে। সেটির মালিক কে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল পাচার, কোনও নতুন ঘটনা নয়। ভারত থেকে যাওয়া পুরনো মোটর সাইকেলের ভালই দাম পাওয়া যায় বাংলাদেশে। 


বসিরহাট মহকুমায় স্থলপথ এবং নদীপথ মিলিয়ে ২২১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে সামান্য অংশই কাঁটাতারে ঘেরা। তার বাইরের এলাকার একটা বড় অংশে অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে। সমুদ্রলাগোয়া অঞ্চলগুলিতে নদীগুলিতে যদিও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জাহাজ টহল দেয়। ভাসমান আউটপোস্ট এহবং স্পিডবোটেও টহল দেওয়া হয়। 


তা সত্ত্বেও সীমান্ত এলাকায় পাচারচক্রের সমান সক্রিয়। এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্তরক্ষীবাহিনীর (BSF) সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। কিন্তু সীমান্তে অপরাধমূলক কাজকর্মে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি।