সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গোবরডাঙা পুরসভায় (Gabardanga Municipality) তৃণমূলের স্বস্তি। দলের নির্দেশ মেনে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সুভাষ দত্ত। গোবরডাঙ্গা পুরসভার ২ বারের পুর প্রধানকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান তিনি। আজই শেষ হচ্ছে নির্দলদের সরে দাঁড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা। তার আগেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন গোবরডাঙার প্রাক্তন পুরপ্রধান। কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নামার, বললেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।
নরমে হয়নি, কিন্তু গরমে হল। দল থেকে বহিষ্কারের কড়া হুঁশিয়ারি ও ডেডলাইনের মুখে পড়ে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সুভাষ দত্ত।
গোবরডাঙা পুরসভায় তৃণমূলের হয়ে দু’বারের পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বিদায়ী পুরপ্রধানকে টিকিট না দিয়ে, তাঁর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যজনকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তারপরই ওই ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান সুভাষ দত্ত। তৃণমূল নেতৃত্বের বারবার অনুরোধেও ভোটের লড়াই থেকে সরতে চাননি তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় পুরভোটের লড়াই থেকে বিক্ষুব্ধ নেতা ও নির্দলদের সরে দাঁড়ানোর সময়সীমা রবিবার দুপুরে শেষ হল। তার আগেই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির নির্দেশ মেনে ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী।
ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো তৃণমূল নেতা সুভাষ দত্তের কথায়, আমি লড়াইয়ে নেই। কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামার জন্য।
কড়া নির্দেশে রণে ভঙ্গ নির্দল প্রার্থীর। বিজেপির কটাক্ষ। এ বিষয়ে অর্জুন সিংহ-র মন্তব্য গোবরডাঙার চেয়ারম্যান যিনি ছিলেন, তাঁকে টিকিট দেয়নি, প্রেশার দিয়ে সরিয়েছে। অনেক দুর্নীতি করেছে। পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেব। অনেক লুঠ করেছ। এসব প্রেশার করায়। তৃণমূলের তো একটাই অস্ত্র। লুঠপাট করে, তারপর পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৭ ওয়ার্ডের গোবরডাঙা সহ ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ।
দলের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পুরভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত। এগরা পুরসভার ২ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যনাথ পাত্র ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান মল্লিক দলের টিকিট না পেয়ে এবার নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। দল সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলেও প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেননি দুই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। এরপরই গতকাল ওই ২ জনকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন এগরার বিধায়ক ও তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি। বহিষ্কৃতদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।