সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের মদন মিত্রের (madan mitra) গলায় খেলার ডাক। বললেন, 'কোদাল কাস্তে হাতে থাকলে বিজেপির (BJP) দস্যু ডাকাতরা জমি দখল করতে পারবে না। বুথে (booth) এজেন্টই (agent) দিতে পারবে না।' রবিবার, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা বিলকান্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কৃষকদের কোদাল ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্তব্য মদনের। 


কী বললেন বিধায়ক?
কামারহাটির বিধায়কের বক্তব্য, '৯০ মিনিট খেলতে হবে না। একেবারে গোলহীন খেলা হবে। ...খেলতে তো দুদিকে লোক লাগবে। কিন্তু বুথে তো এজেন্টই দিতে পারবে না।' তাঁর প্রশ্ন, 'আমরা কী করব? উল্টো দিকে প্রার্থী নেই তো। আপনারা যদি দেখেন, ভোটার স্লিপে শুধু তৃণমূল ও নোটা ছাড়া অন্য় কোনও প্রার্থী নেই, তখন কোনও বিকল্প থাকবে না।' তৃণমূল জনপ্রতিনিধির এমন মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সমালোচনা করেছে বিজেপি শিবির। রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্য়ান করেছেন। তাতে তৃণমূল কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছে যে বিরোধীশূন্য নির্বাচন চাইছে।' একই সঙ্গে মদন মিত্রকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। তাঁর মতে, দলে প্রায় ব্রাত্য মদন। এই ধরনের কথা বলে উপরমহলকে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন কামারহাটির বিধায়ক, তোপ বিজেপি নেতার। বিদ্রুপের সুরে তীক্ষ্ণ সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। বলেন, 'উনি কখন কোন মুডে রয়েছেন, বলতে পারব না। কিন্তু এটা বোঝাই যায়, যতই রসবশ থাক, আসলে একটা একাধিপত্য ও দাপটের মনোভাবেই রাজনীতি করেন।' তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোনও ধরনের হিংসাত্মক বাতাবরণে তৃণমূল যে সায় দেবে না, সেটা ফের স্পষ্ট করে দেন শশী পাঁজা। জানান, তৃণমূল সভানেত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, দুজনেই বার বার শান্তিপূর্ণ ও হিংসা ছাড়া ভোটের কথা বলেছেন। যদিও তাঁর কথায়, 'প্রত্যেক দল যেন বুথে এজেন্ট দিতে এটা আমরা চাই। কিন্তু তারা যে সব সময় প্রার্থী বা এজেন্ট পান না, সেটা আলাদা বিষয়।' 


আগেও বিতর্ক...
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের বিধান দিয়ে হালেই একবার বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন মদন মিত্র। বলেছিলেন, 'আমাদের কাছে ভাল ট্রেনার আছে, প্রশিক্ষণ নেবে কর্মীরা। কোথায় কোথায় অস্ত্র পৌঁছচ্ছে জানলে সুবিধা হয়। আমাদের কাছে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা আছে, তারাই শেখাবে। কীভাবে লক খুলতে হয়, ল্যাচ কি লাগাতে হয়, শিখবে তৃণমূলকর্মীরা'। তাতে অবশ্য কড়া ভাষায় দলীয় সতীর্থের সমালোচনা করেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, ‘পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়!’ কিন্তু 'কোদাল-কাস্তে' মন্তব্যের পর ফের বোঝা গেল, মদন আছেন মদনেই।


আরও পড়ুন:G-20 সম্মেলনের প্রস্তুতি-বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন মমতা, মোদির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ কি হবে?