পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মদন মিত্র মানেই রাজনীতির এক রঙিন চরিত্র। মদন মিত্র মানেই তিনি কখনও রাস্তায় বাইক ছোটান, কখনও আবার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন প্রতিপক্ষকে। কখনও তিনি নায়িকাদের সঙ্গে দোল খেলেন। কখনও আবার নায়কদের মতো গলা ছেড়ে গান করেন। তাঁর মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পেলেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। এবার রাজনীতির এই রঙিন চরিত্রই জায়গা করে নিচ্ছে রুপোলি পর্দায়। তৈরি হচ্ছে মদন মিত্রর বায়োপিক। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন রাজা চন্দ। 


এর আগে চ্যালেঞ্জ টু, কিডন্যাপ, রংবাজ ইত্যাদি বাংলা ছবির পরিচালনা করেছেন রাজা চন্দ। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের কথায়, 'গত দু’বছর ধরে বায়োপিক করার চাপ আসছিল। কিন্তু হেরে যাওয়া পরাজিত সৈন্য হিসেবে নয়, কামারহাটি রায়ের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। কলেজ জীবন থেকে আজ পর্যন্ত ভোটে জেতা, মেসি-ব্রাজিল টিমকে নিয়ে আসা, কালও থাকবে ভালর সঙ্গে। জীবনে কিছু লুকনো উচিত নয়।'


এর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে মেরি কমের মতো ক্রীড়াবিদ বা মনমোহন সিং, বাল ঠাকরের মতো জাতীয় স্তরের রাজনীতিককে নিয়ে বলিউডে বায়োপিক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, বাংলায় এমন ট্রেন্ড এই প্রথম। আর তার সূচনা হচ্ছে মদন মিত্রকে দিয়ে। শোনা যাচ্ছে, মদন মিত্রের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। পঁয়ষট্টি পেরিয়ে যাওয়া মদন মিত্র মানেই বর্ণময় জীবন। আবার তাঁকে ঘিরে বিতর্কেরও শেষ নেই। এখন মদন মিত্রর বায়োপিকের খবর সামনে আসার পরই কৌতূহল তৈরি হয়েছে, এই সবকিছুই কি বায়োপিকে জায়গা পাবে? মদন মিত্র জানিয়েছেন, 'স্ত্রী একজন থাকবেন, তবে নায়িকা কিন্তু অনেকে থাকবে। আমি নিজেও বায়োপিকে অভিনয় করব। সারদা-নারদ এই সব থাকবে। আমার জীবন খোলা বইয়ের মত।'


আশুতোষ কলেজের প্রাক্তনী মদন মিত্রর রাজনীতিতে হাতেখড়ি কলেজ জীবনেই। এই আশুতোষ কলেজেই ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা এক যুবক হাতটা ধরেছিলেন সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া এক ছাত্রের। সেখান থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। যে যুবক হলেন মদন মিত্র স্বয়ং এবং ফ্রেঞ্চকাট দাড়ির যুবক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 


ছাত্রনেতা থেকে বিধায়ক, তারপর মন্ত্রী হওয়া, জেলে যাওয়া, জেল থেকে ভোটে লড়া এবং হেরে যাওয়া। এরপর আবার সেই কেন্দ্র থেকেই ভোটে জিতে আসা। মদন মিত্রর রাজনৈতিক জীবনে ছবি তৈরির রসদের অভাব নেই। এখন বায়োপিকে এই সবের মধ্যে কতটা, কীভাবে দেখা যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে। আগামী বছরই মুক্তি পেতে পারে মদন মিত্রের বায়োপিক।