উত্তর ২৪ পরগনা (শ্যামনগর): রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের হাওয়া উঠেছিল গত বছর বিধানসভা ভোটের (Bidhansabha Election) পর। বিজেপি(BJP) এই রাজ্যে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই (TMC) ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছে ক্ষমতায়। এদিন শ্যামনগরে দলীয় সভা থেকে সেই মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''বিজেপির কাছে এত টাকা, এজেন্সি আছে, কিন্তু তৃণমূলের মতো কর্মীরা নেই। যে দল ভেবেছিল ব্যারাকপুরকে অশান্ত করবে, তারা এখন চূর্ণ। আজ বিজেপি ছেড়ে একে একে তৃণমূলে আসছেন। তৃণমূলকর্মীরাই তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যারা ভাবে এ এক নম্বর, ও ২ নম্বর, তৃণমূলে এক নম্বর মমতা, দলের কর্মীরা ২ নম্বর।''
কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে আর কী বললেন অভিষেক?
এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি আরও বলেন, ''কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ভারতবর্ষে ১০০টি জুটমিলের মধ্যে অধিকাংশই বাংলায়। বিজেপি বলেছিল আচ্ছে দিন আসবে, কিচ্ছু হয়নি। ভারতে তৃণমূল ছাড়া কোনও দল বিজেপির চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না। আমরা দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করিনি। বিজেপিতে যাওয়া আর, আর খাল কেটে কুমির আনা সমান। দরজা খুললে বিজেপি উঠে যাবে, আপনারা চাইছেন, তাই দরজা বন্ধ। আগামী দিনের লড়াইয়ে সবাই তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে।
ইডি-সিবিই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি
কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ইডির কাছে জেরা দিতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে অভিষেক এদিন বলেন, ''বিজেপি সবাইকে ইডি-সিবিআই ডেকে আটকে রেখেছে। আমার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারলে করো। সবার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে চমকানোর চেষ্টা করছে। বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলেছিলাম, রাজ্যপাল বলছেন সীমা অতিক্রম করছেন। আমি বলেছিলাম ১ শতাংশ কেন্দ্রের কথা শুনে প্রটেক্ট করছে।''