সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে 'হুমকি চিঠি' (Shantanu Thakur Receives) Threat Letter)! অভিযুক্ত দেগঙ্গার এক বাসিন্দা, প্রাথমিক ভাবে খবর। চিঠিতে লেখা হয়েছে, সিএএ, এনআরসি চালু হলে ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম করে এই চিঠি পাঠানো হয় বনগাঁর বিজেপি প্রার্থীকে, এমনই শোনা যাচ্ছে।
যা জানা গেল...
দেগঙ্গা থেকে একটি চিঠি এদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা আসন্ন নির্বাচনে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে আসে বলে খবর। তিন জনের নাম করে সেখানে বলা হয়েছে যে সিএএ-এনআরসি চালু হলে দেশজুড়ে আগুন জ্বলবে। এমনকি ঠাকুরবাড়ি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনও বিপন্ন হবে, হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে বলে দাবি। শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইবেন বলে জানান তিনি। যদিও তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানান, সবটাই নাটক। আগেও নির্বাচনের মুখে এরকম নাটক করেছেন, অভিযোগ মমতাবালার। গত কাল 'বড়মা' বীণাপানি দেবীর ঘরে ঢুকে শান্তনু যে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন এদিন সে দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এত কিছু, আরও দাবি মমতাবালা ঠাকুরের। গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিএএ নিয়ে..
ভোটের মুখে সিএএ বিধি বলবৎ হওয়ায় দেশজুড়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। বিজেপি-বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্য়প্রণোদিত ভাবে ভোটের আগে এই বিধি চালু করা হল। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, এটি করারই কথা ছিল। এই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর একটি ভিডিও বিতর্কের আগুন বাড়িয়ে দেয়। ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'তৃণমূল হলে নাগরিকত্ব নয়, কাউকে নাগরিকত্ব নয়।'বলেন, 'তৃণমূলের লোকেদের কাউকে নেবেন না, নাগরিকত্ব দেব না। তৃণমূলের একজনকে নাগরিকত্ব দেব না। দেখব কী ভাবে বাঁচায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?' ভিডিওটির সত্যতা এবিপি আনন্দ আলাদা করে যাচাই না করলেও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, 'যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, তাঁরা যদি নাগরিকত্ব নিতে আসেন, তাঁরা '৭১ সালের আইন অনুসারে নাগরিকত্ব নিতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেন ওঁদের নাগরিকত্ব দিতে পারেন, ভোটার কার্ডের ভিত্তিতে।...ওঁর তো নাগরিকত্ব দরকার নেই। তা হলে কেন নাগরিকত্ব দিতে হবে ওঁদের?' কিন্তু যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই 'গ্যারান্টির' কথা বলেছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী কেন এমন দাবি করলেন? উল্টো দিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানায় তৃণমূলও। তার মধ্যেই এই চিঠির।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:এনআইএ-র ডিজি-র কাছেই এসপি-র বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি কুণালের