সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: রাজ্য বিজেপিতে (BJP) বাড়ছে ‘বিদ্রোহ’। সময় যত এগোচ্ছে ততই যেন বিজেপিতে ফাটল চওড়া হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় বারাসাত সাংগঠনিক জেলা কমিটি। এই কমিটির পদ থেকে গণ ইস্তফা দিলেন বিজেপির একাধিক নেতারা। বিজেপির জেলা কমিটির পদ থেকে গণ ইস্তফা ১৫ জন সদস্যের।  


জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সভাপতিকে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে,  ‘দুর্নীতিতে জড়িত জেলা সভাপতি, তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত ’। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার জেলা সভাপতির। 


তবে শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয়, বাঁকুড়ায়তেও একই চিত্র দেখা গেছে।  বাঁকুড়ায় মণ্ডল সভাপতির পদ নিয়ে ফের বিজেপিতে বিদ্রোহ। পাত্রসায়রের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির পর, এবার মুখ খুললেন অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য। কোনও বক্তব্য থাকলে দলেই বলা উচিত, বললেন জেলা সভাপতি। আর এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।                


আরও পড়ুন, প্রতীক্ষার অবসান, আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস                  


চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) ও বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সাংগঠনিক জেলার মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়। তাতে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত রানিবাঁধ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি করা হয় তপন মাহাতোকে। আর এতেই ক্ষুব্ধ অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতো। রানিবাঁধের অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতোর কথায়, জেলা সভাপতি মদ গাঁজা খেয়ে কিংবা অর্থের লেনদেনে এমন লোককে মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।  পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি।                                       


উল্লেখ্য, এর আগে একই ইস্যুতে বিদ্রোহের সুর দেখা গিয়েছিল বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও। পাত্রসায়রের ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতির পদ খুইয়ে দলের বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তমালকান্তি গুঁই। কমিটি নিয়ে বিজেপিতে গোষ্ঠীদন্দ্ব। কটাক্ষ তৃণমূলের। সব মিলিয়ে মণ্ডল সভাপতির পদ নিয়ে সরগরম জঙ্গলমহলের জেলা।