সমীরণ পাল, বনগাঁ : বিজেপি করলে কোনও সুবিধা মিলবে না। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির এই মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এদিকে, গাইঘাটার ধর্মপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। তিন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে।


বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, বিজেপির যে লোকটা তৃণমূল করবে তাকেই সুবিধাটা দেব। যে বিজেপি করবে সে সুবিধা পাবে না।


আরও পড়ুন ; চণ্ডীপুরে সুকান্ত-র বৈঠকে অনুপস্থিত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের একাংশ, কটাক্ষ তৃণমূলের


বিজেপির উদ্দেশে হুমকির অভিযোগ শাসক নেতার। বিতর্কে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ। তবে উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। এপ্রিলের গোড়াতেই গোবরডাঙায় দলের কর্মিসভায় পরিচয়পত্র নিয়ে গোপাল শেঠের মন্তব্যে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছিল। গোপাল শেঠ বলেছিলেন, আমরা প্রত্যেককে একটা করে কার্ড করে দেব। আপনারা কোনও অফিসে গেলে, আপনারা ওই কার্ডটা আপনাদের কাছে রাখলে, প্রত্যেকটা অফিসে গুরুত্ব দেবে। প্রশাসনিক অফিসে গুরুত্ব দেবে।


সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই, শনিবার ফের গোপাল শেঠের মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে গাইঘাটায় । এদিন হুমকির সুরে তিনি বলেন, বিজেপি করলে মিলবে না কোনও সুবিধা। গোপাল শেঠ বলেন, বিজেপির যে লোকটা তৃণমূল করবে তাকেই সুবিধাটা দেব, যে বিজেপি করবে সে সুবিধা পাবে না।


এনিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ওরা যা করছে সেটা বলেছে। ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ বিধানসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তারা সবাই বঞ্চিত।


অনেদিকে, শুক্রবার দলবদলের জেরে উত্তর ২৪ পরগনায় নিজেদের দখলে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। একদিন না পেরোতেই, ফের ভাঙন ধরল পদ্ম শিবিরে।


এদিন তৃণমূলে নাম লেখান ধর্মপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের গেরুয়া ব্রিগেডের আরও তিন সদস্য। দলত্যাগী বিজেপি সদস্যদের দাবি, রাজ্যের উন্নয়নের শরিক হতেই শিবির বদলেছেন তাঁরা। যদি বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, চাপের মুখে নতিস্বীকার করেছেন দলত্যাগীরা।