সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: তিন দিনও কাটল না। ফের বোমার (bomb) আতঙ্ক (fear) ভাটপাড়ায় (bhatpara)। 


বোমাবাজির অভিযোগ


এবারের ঘটনাস্থল ভাটপাড়া থানার বুড়ি বটতলার শালবাগান এলাকা। পর পর দুটি বোমার জেরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক। ঠিক কী কারণে বোমাবাজি সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বাসিন্দাদের বক্তব্য়, তাঁরা আতঙ্কে থাকলেও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা মিলছে না। অভিযোগ, বোমাবাজির প্রায় আট ঘণ্টা পর এসেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তার পরও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 
গত ৯ জুলাই ভাটপাড়াতেই একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছন থেকে ৫০টি তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল ওই এলাকায়। যদিও প্লাইউড দিয়ে ঢাকা বোমাগুলি কোথা থেকে এল জানা যায়নি। কে বা কারা রেখেছিল সেটা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় ছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে ভাটপাড়া-জগদ্দল এলাকা?


বিস্ফোরণ গত সপ্তাহে


বৃহস্পতিবার, ভাটপাড়ার নয়াবাজারে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ জনের। বহুতলের একতলার গোডাউনে, বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ২ জনের। কী থেকে বিস্ফোরণ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক সপ্তাহ আগে, গত শনিবার, ভাটপাড়ায়, ভর সন্ধেয়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ইমারতী ব্যবসায়ীকে। 
মাথা-সহ শরীরের একাধিক জায়গা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ব্যবসায়ীর। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যে ফের শ্যুটআউট! জগদ্দলে, ১৯ বছরের তরুণকে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁরই বন্ধুর বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে অর্জুন সিংহ বলেছিলেন, 'অপরাধীদের এলাকা দখলের লড়াই চলছে বলেই শুনেছি। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করছে। অপরাধীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।' 


কিন্তু স্থানীয়দের বক্তব্য, আতঙ্কের এমন আবহ সত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার। কী করবেন তাঁরা? এখনও উত্তর নেই। শুধু অসহায়তা বেড়ে চলেছে। 


আরও পড়ুন:লাল সতর্কতা মহারাষ্ট্রের ৬ জেলায়, বৃষ্টির ভ্রূকুটি মধ্যপ্রদেশেও