সমীরণ পাল, গোপালনগর : নিকাশি খালের (Drainage Canal) ওপর অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ বিজেপি সমর্থকের (BJP Supporter) বিরুদ্ধে। কাজ বন্ধ করার জন্য BDO-র কাছে আবেদন করলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর (Gopalnagar) এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান। পঞ্চায়েতের কাছ থেকেই অনুমতি নিয়েছেন বলে দাবি নির্মাণকারীর। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। অবৈধ নির্মাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিডিও।


অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ-


বর্ষার সময় জমা জল বেরনোর অন্যতম মাধ্যম এই খাল। কিন্তু, সেই খালের ওপরই চলছে নির্মাণকাজ। নির্মাণকারীর দাবি, অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েতই। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে পঞ্চায়েত। এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে তুঙ্গে উঠেছে চাপানউতোর। 


আরও পড়ুন ; বালি তুলতে বাধা, হুমকি-মারধরের নালিশ, কাঠগড়ায় ব্যবসায়ী


গোপালনগর-নহাটা রাজ্য সড়কের পাশে রামচন্দ্রপুর এলাকায় চলছে এই নির্মাণকাজ। গোপালনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিযোগ, অবৈধভাবে নিকাশি খালের ওপর নির্মাণ করছেন স্বপন বিশ্বাস নামে এক বিজেপি সমর্থক। যদিও অভিযুক্তর দাবি, তাঁকে অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েতই। 


গোপালনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুম্পা দাস কর অবশ্য বলছেন, অনুমতি দেওয়া হয়নি।


অন্যদিকে অবৈধ নির্মাণে অভিযুক্ত স্বপন বিশ্বাস বলছেন, ব্যক্তি মালিকানার জায়গা এটি। এখানে কোনও নিকাশি খালের উল্লেখ নেই। ৩০-৪০ বছর ধরে এই খালটি রয়েছে। আমি পাল্লা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাড়ি তৈরির প্লান পাস করেছি। 


অভিযোগ, গোপালনগর দাঁড়িঘাটা ব্রিজ থেকে পাল্লা পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার জুড়ে নিকাশি খালের ওপর চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। গোপালনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্মরজিত্‍ বৈদ্য বলেন, বিজেপি করে, তাই প্রভাব খাটিয়ে করছেন।


অন্যদিকে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে এই ধরনের বিল্ডিং করবার অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েত । এই ব্যক্তি বিজেপি করেন বলে অভিযোগ করছেন । এই ব্যক্তির কাছে টাকা চেয়েছিল পঞ্চায়েত। টাকা দেয়নি বলেই অভিযোগ করছেন ।


এদিকে নির্মাণ অবৈধ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। বনগাঁর বিডিও অর্ঘ্য দত্ত বলেন, আমার কাছে ই-মেইলে অভিযোগ এসেছে। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছি । অবৈধ নির্মাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


নিকাশি খালের ওপর এভাবে নির্মাণকাজ শুরু হল কী করে ? কেন তা আগে পঞ্চায়েতের নজরে এল না, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারাও।