সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:স্ত্রীকে ফিরে পেতে এবার শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। দেগঙ্গার (De Ganga Bomb Hurled) হাদিপুর ঝিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে খবর, বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী (Couple Discord)। তাঁকে ফেরাতে না পেরে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের জানিয়েছেন স্ত্রী। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে


যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ভয় দেখাতেই এই কাণ্ড ঘটায় জামাই। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাদিপুর হাতিপাড়া এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। ঝামেলা মেটাতে সালিশি সভাও বসে। সমাধান না হওয়ায় এই বোমাবাজি। কয়েক মাস আগে দাম্পত্যে অশান্তির ঘটনায় স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মঘাতী হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল নদিয়া থেকে। দেগঙ্গার ঘটনা সেই স্মৃতি অনেকের মনেই উসকে দিয়েছে। 


নদিয়ার ঘটনা...
গত মার্চের ওই ঘটনায় প্রথমে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে স্বামী। তার পর আত্মঘাতী হন নিজেও, এমনই জানা যায়। ঘটনার পর দিন সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটির পাড়া এলাকার এমন খবর চাঞ্চল্য ফেলেছিল অনেকের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে উঠে আসে, ১২ বছর আগে এলাকারই যুবক জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপালী সর্দারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর সেই কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যে এসে জয়ন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। ঘটনার আগের দিনও, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধর করেন জয়ন্ত। পর দিন ধানের জমির মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মাজদিয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে স্বামী জয়ন্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেল লাইনের ওপর থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী রেলের লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।


আরও পড়ুন:পুজোর মুখে আরও ভয়াবহ ডেঙ্গি? ভয় ধরাচ্ছে হাওড়ার পরিসংখ্যান