সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কাশ্মীরি পড়ুয়াদের জন্য ভারত-দর্শন কর্মসূচির বিশেষ উদ্যোগ নিল বিএসএফ (BSF Arranges Educational Tour)। নির্দিষ্ট করে বললে, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত বিভাগ, কাশ্মীরি পড়ুয়াদের জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর আওতায় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সফরের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা যায়। ১০ জন ছাত্র ও ৫ জন ছাত্রী এই ট্যুরে অংশ নিয়েছিল।


যা হল...
কাশ্মীর উপত্যকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা এই পড়ুয়াদের জন্য ছ'দিনের এই সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সফরের ব্যবস্থা করে বিএসএফ। সফর শুরু হয়েছিল বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সদর দফতর দর্শনের মাধ্যমে। তার পর রাজারহাট ক্যাম্পাসেও আসেন পড়ুয়ারা। সেখানকার সকলের সঙ্গে আদানপ্রদানের সুযোগ ছিল তাঁদের। পাশাপাশি, বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি, আইপিএস আয়ুষ মণি তিওয়ারি দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিশেষত্ব সম্পর্কে গুরুত্বরপূর্ণ তথ্যও ভাগ করে নেন।
এর পর, শিক্ষার্থীরা কলকাতার ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে দেখেন। মহানগরের প্রাণবন্ত অতীত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুলুকসন্ধানই ছিল ওই সফরের উদ্দেশ্য। বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা থেকে আপাত ভাবে অপরিচিত এলাকা, কাশ্মীরি-পড়ুয়াদের সবকিছুই খুঁটিয়ে চেনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল এই উদ্যোগে। এক কথায়, মহানগরের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয় এই সময়ে।
এই সফরের একটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল দিঘা সমুদ্র সৈকতে পরিদর্শন। এখানে সৈকতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন পড়ুয়ারা। ভ্রমণসূচিতে আইসিপি পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখানে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠান দেখানো হয় তাঁদের। জওয়ানদের কুচকাওয়াজ পড়ুয়াদের বিস্মিত করে। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা আলিপুর চিড়িয়াখানা এবং ভারতীয় জাদুঘরেও এসেছিলেন। 
সমাপ্তি পর্বে পড়ুয়াদের সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের সবথেকে জনবহুল এবং চ্যালেঞ্জিং সীমান্ত অঞ্চের পরিস্থিতি এবং সেখানকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজকর্মের জটিলতার সাক্ষী হন তাঁরা। ভাসমান সীমান্ত চৌকি রয়েছে, তারও কার্যকারিতা বোঝানো হয়। 
এই ট্যুর সম্পর্কে, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র, এ কে আর্য বলেন, 'কলকাতায় ভারত দর্শন প্রোগ্রাম কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে উঠে এসেছে। বস্তুত, ভ্রমণসূচিটিই এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা নানা স্বাদের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যের গুরুত্ব বুঝতে পারেন।


আরও পড়ুন:কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালি যেতে 'বাধা'