ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি (Kolkata Airport Firing)! বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের কাছে ওয়াচ টাওয়ারে গুলি চলে। কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালান বলে প্রাথমিক ভাবে খবর। গুলি লাগে জওয়ানের গলায়। চিনার পার্কের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই জওয়ানকে। তবে শেষরক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আত্মঘাতী হতেই গুলি চালিয়েছিলেন জওয়ান।


যা জানা গেল...
আজ সকাল সওয়া পাঁচটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। বিমানবন্দরের যে 'কার্গো সাইড' রয়েছে, তার ৫ নম্বর ওয়াচ টাওয়ারে কর্তব্যরত চিলেন শ্রী বিষ্ণু নামে ওই সিআইএসএফ জওয়ান। আচমকাই ওই ওয়াচ টাওয়ারে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। বিমানবন্দরের কর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শ্রী বিষ্ণু। পাশে তাঁর সার্ভিস রাইফেল। দ্রুত, তাঁকে উদ্ধার করে পাশে চিনার পার্কের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই সিআইএসএফ জওয়ান আত্মঘাতী হতেই সম্ভবত নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন। গুলিটি তাঁর গলায় লাগে। কিন্তু ঠিক কী কারণে গুলি চালান তিনি? সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, এই ব্যাপারে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে কোনও সূত্র মিলতে পারে। যদিও, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ। সেই জন্য যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন তাঁর কাছে মোবাইল ফোন ছিল না বলেই খবর। তাই তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে খবর। শ্রী বিষ্ণুর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছেও শোনা গিয়েছে।


দুই ঘটনা...
বিমানবন্দরের এই ঘটনা কলকাতাবাসীকে বছরদুয়েক আগেকার দুটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। প্রথমটি ঘটে ২০২২ সালের জুন মাসে। সে বার, পার্ক সার্কাসে এলোপাথারি গুলিতে ২ জনের প্রাণ যায়। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে এক পুলিশকর্মীর গুলিতে মারা যান ১ মহিলা। পরে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন ওই পুলিশকর্মী। জখম হয়েছিলেন আরও ১ জন। এর পর, জাদুঘরে একটি ঘটনা ঘটে। একই বছরে, অগাস্ট মাসে এক সহকর্মীর গুলিতে মারা যান CISF-এর এএসআই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গি, জখম হন অ্যাসিস্টান্ট CISF কমাডান্ট সুবীর ঘোষ। এবার খাস কলকাতা বিমানবন্দরে আত্মঘাহী হওয়ার চেষ্টার খবর।


আরও পড়ুন:চড়ছে পারদ, মার্চের শেষে আবহাওয়ার চেনা ছন্দে ফিরছে বীরভূম