আশাবুল হোসেন ও সমীরণ পাল, হিঙ্গলগঞ্জ :  ভোটার তালিকা (voter list) তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আধার কার্ড (aadhar card) নিয়ে এলে তবেই তাতে নাম উঠবে, এটা ঠিক নয়। হিঙ্গলগঙ্গের (hingalgunj) সামশেরনগরে সভায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (mamata banerjee)। বললেন,  'সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক (mandatory) নয়। যদি কারও ইচ্ছা হয় সে দেবে। কিন্তু আমার না থাকলে দেব না। এটা মাথায় রাখবেন।'



আধার-বার্তা মুখ্য়মন্ত্রীর...
এদিন হিঙ্গলগঙ্গের সভায় আধার কার্ড নিয়ে তৃণমূলনেত্রী যা বলেছেন তার মূল মর্ম একটাই। রাজ্য সরকারের সুবিধা প্রত্যেকে পাবেন। কিন্তু তার জন্য বা ফর্ম ফিল আপের জন্য আধার কার্ড আবশ্যক নয়। ভোটার তালিকার প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। বলেন, 'ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেটা আপনার তালিকা। ওটা আপনার অধিকার। ওটা না থাকলে আপনার পরিচয় থাকবে না। ছাত্রছাত্রীদের বলছি যাঁরা সতেরো থেকে আঠারো হচ্ছেন,. তাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। যদি গিয়ে কেউ বলে আধার কার্ড নিয়ে এসো তবে নাম উঠবে। ওটা কিন্তু ঠিক নয়। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। যদি কারও ইচ্ছা হয় সে দেবে। কিন্তু আমার না থাকলে দেব না। এটা মাথায় রাখবেন।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলাদা সুন্দরবন জেলার কথাও শোনা গেল মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে। জানালেন, তিনি সেখানকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সুন্দরবনের আলাদা জেলা তৈরি করছেন। অনেকগুলি সুস্বাস্থ্য়কেন্দ্রও করা হবে তাতে। পর্যটনে জোর দেওয়া হবে। মানুষের রোজগার বাড়ানোর জন্য ঘরে ঘরে হোম স্টে করতে পারেন মানুষ। তার জন্য সরকার সাহায্যও দেবে, আশ্বাস শোনা যায় তৃণমূলনেত্রীর কথায়। 


শীতবস্ত্র নিয়ে 'ক্ষোভ'...
এদিন শীতবস্ত্র বিতরণের সময় একপ্রস্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র বিলি করতে গিয়ে দেখেন শীতবস্ত্র এসেই পৌঁছয়নি। তলব করেন বিডিওরকে। কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘পুলিশ অন্যায় করলে দোষটা পড়ে আমার ঘাড়ে। সরকার ভুল করলে দায় নিতে হয় আমাকে। ’ সেই সঙ্গে বিডিও-র উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যদি বিডিওরা কাজ না করে, আমাকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে’। শীতবস্ত্র বিলি করতে না পারায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘তোমার কাছ থেকে আশা এটা করিনি’ । জেলাশাসককে মঞ্চ থেকেই ভর্ত্‍‍সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝপথেই ভাষণ থামিয়ে বসে পড়লেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘যতক্ষণ শীতবস্ত্র না আসবে, মঞ্চেই বসে থাকব’। ক্ষোভ প্রকাশের বেশ খানিক্ষণ পর মঞ্চে এল শীতবস্ত্র। তারপর মঞ্চ থেকে কয়েকজন শিশু, বৃদ্ধদের শীতবস্ত্র বিলি করেন তিনি বলেন, মোট ১৫ হাজার শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। প্রত্যেকেই পাবেন। তবে, একদিনে মঞ্চ থেকে সবটা করা সম্ভব নয়। কারণ সন্ধে হয়ে যাবে। বাঘের ভয় তো আছেই। এরপর সরকারি উন্নয়নের ভাবনা তিনি ভাগ করে নেন। 


আরও পড়ুন:শীতবস্ত্র কই ! মঞ্চে ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী, বিডিওকে ভর্ৎসনা, 'ভুল করলে দায় নিতে হয় আমাকে