আশাবুল হোসেন, সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: হিঙ্গলগঞ্জে আজ মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) । বনবিবির মন্দিরে আজ পুজো দেন তিনি। এরপর মন্দির সংস্কারের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রশাসনিকর কর্তাদের কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বনদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন মঞ্চে। সেখান থেকে সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান শুরু করেন। ঘোষণা করেন, ‘যাঁরা বিধবা ভাতা পান, তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারও পাবেন’। বনদেবীর মন্দির পাকা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকায় বাস পরিষেবা বাড়ানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী।
আরও দেখুন :
Mamata Banerjee: মঞ্চে নেই শীতবস্ত্র, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, মঞ্চ থেকে বিডিওকে তলব
এরপরই ঘটে যায় সেই ঘটনা। মঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র বিলি করতে গিয়ে দেখেন শীতবস্ত্র এসেই পৌঁছয়নি। তলব করেন বিডিওরকে। কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘পুলিশ অন্যায় করলে দোষটা পড়ে আমার ঘাড়ে। সরকার ভুল করলে দায় নিতে হয় আমাকে। ’ সেই সঙ্গে ডিবিও উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যদি বিডিওরা কাজ না করে, আমাকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে’।
শীতবস্ত্র বিলি করতে না পারায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘তোমার কাছ থেকে আশা এটা করিনি’ । জেলাশাসককে মঞ্চ থেকেই ভর্ত্সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝপথেই ভাষণ থামিয়ে বসে পড়লেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘যতক্ষণ শীতবস্ত্র না আসবে, মঞ্চেই বসে থাকব’। ক্ষোভ প্রকাশের বেশ খানিক্ষণ পর মঞ্চে এল শীতবস্ত্র। তারপর মঞ্চ থেকে কয়েকজন শিশু, বৃদ্ধদের শীতবস্ত্র বিলি করেন তিনি। তিনি বলেন, সরকারি সুবিধে প্রত্যেকে পাবেন। সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্য কিংবা ফর্ম ফিল আপের জন্য আধার কার্ড আবশ্যক নয়।
তিনি বলেন, মোট ১৫ হাজার শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। প্রত্যেকেই পাবেন। তবে, একদিনে মঞ্চ থেকে সবটা করা সম্ভব নয়। কারণ সন্ধে হয়ে যাবে। বাঘের ভয় তো আছেই। এরপর সরকারি উন্নয়নের ভাবনা তিনি ভাগ করে নেন। বলেন, মানুষের সুবিধের জন্য সুন্দরবন আলাদা জেলা হবে। পর্যটনে জোর দেওয়া হবে। মানুষের রোজগার বাড়ানোর জন্য ঘরে ঘরে হোম স্টে করতে পারেন মানুষ। তার জন্য সরকার সাহায্য দেবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগরে বনবিবির মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।